অজানা অন্ধকারে
অর্ঘ্য রায় চৌধুরী
যেসব ম্যাজিক লণ্ঠনের নীচে
নেমে যেত পাকদণ্ডী
আর মোরগের ঝুঁটির মতো দিন
সে সব জড়ো করতে করতে
একটা বন্দরে এসে পৌঁছালাম
ঘুমন্ত ঘড়ির গা ঘেঁষে একটা ঘণ্টা বেজে উঠল
আস্তাবল থেকে বেরিয়ে এল তাজা ঘোড়াগুলো
আর রক্তের ভেতর কারা যেন বলে গেল
এইবার পাতালের দিকে নেমে যেতে হবে
আচমকা মায়াবী এক বেহালা বাদক
অভিবাদন জানিয়ে বলল “পাকদণ্ডীগুলো সব মিথ্যে
শুধু কিছু সম্মোহনের দরজা খোলা আছে, এই নাও
সুর, এই নাও অচেতনের পারদ”
আর আমরা দেখলাম সুদূরে এক জলন্ত পাহাড়
তার আঁচে সমুদ্রের জল লাল, আর আমাদের
ভেতর থেকে সমস্ত ছায়াগুলো কেড়ে নেওয়া হলো
বৃদ্ধ এক সীলমাছ এসে বলে গেল “হাওয়া মোরগকে
কিছুদিন হলো পাওয়া যাচ্ছে না।”
আর আচমকা একটা পাকদণ্ডী বেয়ে
নেমে এল বৃষ্টি, তার শরীর জুড়ে ছায়া
তার নিঝুম কিছু ডাক
আমরা দৌড়াতে শুরু করলাম
সে এক প্রাণপন ছুট
ক্রমশ এক খোঁয়াড়
সেখানে এক সাইনবোর্ড
লেখা আছে বৃষ্টি এবং পাকদণ্ডীগুলো আসলে ফাঁদ
ওগুলো দেখানো হয়। এখানে একটা সমুদ্র আছে,
একটা বুড়ো জাহাজ, আর একটা গিলোটিন
স্বপ্ন এবং চামড়াগুলো খুলে রেখে চলে এস।
তারিখঃ জুলাই ২, ২০২১