অশরীরী
মৌমী
আমার ভিতরে ও বাইরে তোমার অবাধ যাতায়াত।
আরও অনায়াস হয়ে গেছে বোধহয় আমার
প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয়েই…
দুরন্ত চপলা যখন স্থিতধী, অবাক হয়ে তোমাকে দেখা ছাড়া তার গতি নেই।
ঋজু ব্যক্তিত্ব আর সময় মেপে চলা দিনের প্রতিটা ক্ষণে তোমার কর্মক্ষম কর্তব্যপরায়ণতা লেগে থাকে
দূর থেকে তোমায় ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখি,
কী অসামান্য দক্ষতায় তুমি ক্ষত সৃষ্টি করো ক্ষত নিরাময়ের জন্য।
খুব কাছে, তোমার আমার দূরত্ব যখন সেন্টিমিটার থেকে মিলিমিটার হয়ে শূন্য,
তখন তোমায় ছুঁয়ে দেখতে মেয়েলি লজ্জা লাগে…
তোমার অভ্যস্ত নিস্পৃহ সত্তার কাছে আমি শুধুই রুগীদেহ;
এসব কিছু ছাপিয়ে তোমায় আড় চোখে ছুঁয়ে ফেলার নির্লজ্জতা দেখাই…
আর তুমি নীরবে শিখিয়ে দাও কাজের সমুদ্র দিয়ে কীভাবে অনিশ্চয়তার ঘুমকে বাগে আনা যায়…
অবুঝ উত্তাল বিধ্বংসী প্রেমে তুমি সৃজণাত্মক বাঁধ দিতে পেরেছ;
ক্ষীণকায়া হয়েও তাই আমি আজ সৃষ্টিশীল―
তবু একবার,
অন্তত কয়েক পলের জন্য হলেও বাঁধ ভেঙে তোমায় নারীসুখ দিতে চাই পুরুষ…
মূঢ় বাস্তব আমার সত্তা জুড়ে তোমার আগমন অনায়াস করল তোমার দায়িত্ববোধে…
অথচ
তুমি কোনও দিনও জানতে পারবে না শুদ্ধ প্রেমের ওম গায়ে মেখে আমার আর কোনো আলাদা সত্তা নেই।
তারিখঃ জুলাই ৩, ২০২১