আলোর শক্তি
পিয়াংকী
বেশ খানিকটা দিন পেরিয়ে এলাম । পঞ্চান্ন বছর পাঁচ মাস সাড়ে সতের দিন জুড়ে শুধুই আলো আর আলো ,
বসতবাড়িতে সূর্য পাত পেড়ে খেতো রোজ ।
চাঁদ আসতো তার রুচিমতো ।
দিন রাত্রির ফারাক ছিলো না, তিথি ক্ষণের সাথে স্বাভাবিক সময়ের ছিলোনা কোন বাকবিতণ্ডা ।
মাটির দাওয়ায় বসে আরাধ্য দেবতার সাথে কলঙ্কের চন্দ্রও সমান আতিথ্যের মর্যাদা পেতেন ।
ঈশ্বর আর মানুষ কখনো কখনো একই দেহে ঘর গড়েন… আমি নিজে দেখেছি, বিগত সাঁইত্রিশটা শ্রাবণ জুড়ে।
তার সাক্ষীও আমি, প্রমাণও আমি
আজ আর আলো নেই , আঁধারও হাওয়া বদল করে
পারি দিয়েছে ভিনগ্রহে ।
জীবন এখন জেলিফিসের মতো আবছায়া আলেয়া
তবু শেষ হয়েও কোন কিছুরই ‘দিএন্ড’ হয় না বোধহয়…
এলোমেলো হয়ে থাকা মুহূর্তগুলো এখন তাই আস্তে আস্তে গুছিয়ে নিচ্ছে তাদের নিজস্ব ভিটেমাটি ।
সেলাইমেশিনটার ওপর কিন্তু একটুও ধুলো পড়েনি বরং আস্ত একটা সংসার সেখানে রাজত্বের মতো গেড়ে বসেছে সাম্রাজ্যবাদ ।
বিছানার চাদরে ঘরের পাপোষে ঘরমোছার ন্যাতায়
ভেজাজামা শুকানোর তারে অথবা ঠাকুরআসনের লক্ষ্মীর ঘটে এখনো মোছা মোছা যেটুকু আলো লেগে আছে
আগামী কয়েকশ জন্ম তাতেই আমার শরীরের আনাচকানাচ শুদ্ধিকরণ করে নেব ।
আমি আসি দেখি গন্ধ শুঁকে চলে যাই
দাঁড়াই না বেশিক্ষণ
জীবন্ত দিনের ছবিতে রজনীগন্ধার মালাও পরাই না
হাত জোড় করিনা মায়ের সামনে
শুধু চোখের দিকে তাকিয়ে থাকি একদৃষ্টে ।
শক্তি সঞ্চয় করি পরবর্তী দিনের জন্য ।
হয়তো মায়ের কোন মৃত্যুবার্ষিকী হয়না..
তারিখঃ ডিসেম্বর ২৪, ২০২০