কাঁথার ভিতর রাখা চিন্তাগুলো
অর্ঘ্য রায় চৌধুরী
আসলে পথের কোনও শেষ নেই
এই যে এতটা পথ পেরিয়ে এলে এখনও কী
খুঁজে পেয়েছ ওম?
আমরা সবাই দুয়েকটা বিড়িতে সুখটান দিতে দিতে
নিভে যাই, অথবা ডালের বড়া ভাজতে ভাজতে
লতিয়ে উঠি একান্ত অন্দরে
আমাদের ছবিতে ভাসে কাশফুল, নিজস্ব নদী
খোলা মাঠের শেষে ছায়া ছায়া ডাক
আর একটা কুয়াশা ঘেরা পথে বেজে ওঠে
সাইকেলের ঘন্টি
বেলা শেষে সব জানলাই বন্ধ হয়ে আসে।
করতল পেতেছি আলোয়
এই তো এবার পরিচয় মুছে ফেলতে পারি
সুদূর শিরার ভিতর বয়ে গেছে যেই নদীপথ
সেখানে খুলেছি মুকুট, ভগ্নস্তুপ নই
বরং নতুন প্রাণ, নিজেকে চিনেছি ঘুমে এবং
শ্রান্তির বুকে, কোলাহলের সঙ্কীর্ণ সাঁকোয়, যুদ্ধের
নিমগ্ন পাঠ জেনেছে আত্মার ঝাড়বাতি
এই তো এবার করতলে রেখেছি জীবন
অর্গল নেই, বন্ধন থেকে বহুদূরে কোনও এক
অলকানন্দার তীরে জীবনের এইসব সন্ধেবেলায়
এ জীবন আবারও ভাসিয়ে দিতে পারি।
তারিখঃ জানুয়ারি ১১, ২০২১