পাতন-সিদ্ধ
লুৎফুল হোসেন
হাউই ওড়াতে ওড়াতে
আগুন সখ্যে আঙুলে পড়েছে ফোস্কা
অমায়িক জল-বালিশগুলো
সময়ের ঘুড়ি হয়ে
দিনে দিনে বোধহীন পাথুরে কর
জোনাকির মোলায়েম স্পর্শে
করতল দেয় না জানান আর
অনুভূতির পূর্বাপর
জমিনে সরিষা ফুল
বুকে ফুটে থাকে রোদ
চুম্বনের কাঁটাঝোঁপ
জলের প্রলেপ দিলে
শালুক গন্ধ রন্ধ্রে খেলা করে জোর
শীত রাত পার হলে শিশির-সঞ্চয়ে
ওমের চাদর বিছিয়ে আসে ভোর
জোড়া সূর্যের উপত্যকায়
নাক ডুবিয়ে দুচোখ তখনও
আধো নিদ্রায় নেশামগ্ন স্বপ্ন চূড়
রোজ রাতে প্রখর ঝড়ের মতো
নিদ্রা সন্ধানী প্রহর
তুমুল ভাঙতে থাকে চোখ
ইন্দ্রিয়ের পরতে পরতে
জমানো তৃষ্ণার অসুখ
নেশার আব্রু ছিড়েখুঁড়ে
তলানিতে জমায় বিন্দু বিন্দু সুখ
রোদের প্রশ্রয়ে
সাপ হয়ে ওঠা লতাগুল্মের দিন
ফুরোলে সকলই হয়তো
মিয়ানো লজ্জাবতী-লাজুক
অনাপসী পরাকীর্ণ জীবন বিমুখ
শূন্য পেয়ালা উদগ্রীব মুঠোবন্দি
তবু ফুরায় না কাঙ্ক্ষার জলসিঞ্চন
একবার বাষ্প করে তারে
ফের জল ফের মেঘ জমে জমে
হিমাঙ্কে পতন
বরফ শরীরে জল
শুভ্রতার চপল ত্বকের ওমে
নুন মাখে সঙ্গমের ক্লান্ত বিষাদ
দিনে দিনে ভালোবাসায় ক্ষয়ে গেছে
আয়ু কিংবা ভাগ্যরেখা
করতল মসৃণ তার
জীবনের পরতে পরতে
স্পর্শ মন্ত্র বাণে
পরম যত্নে বোনে আশ্চর্য পরিখা
তারিখঃ ডিসেম্বর ২৪, ২০২০