প্রলাপে বাধিত
রাজেশ গঙ্গোপাধ্যায়
দীর্ঘ আবছায়া গাথা পার হয়ে যায় বৃদ্ধ মথ
বালির কঙ্কাল জেগে আছে নিস্পৃহ জলের নীচে জিজ্ঞাসায়।
কতটা আগুন জমা থাকে ঐশ্বর্যপালনের সম্মোহে!
নিরাকার ব্রহ্মের মত খোয়াইশের কিনারের কাছে মুহূর্তের ঋণ রেখে যায় পূর্বাশ্রম স্মৃতি,
সত্তাবিতানজুড়ে ক্লান্ত ক্ল্যারিওনেটের নোটেশনে বিধুর বিভাব ব্যেপে আসে সমীহর আনাচে কানাচে
ঋদ্ধির তিলমাত্র সম্ভাবনা নেই।
কথা দেওয়া নদীগুলো একদিন উড়ে যেতে চায়, কী আশ্চর্য! উড়ানে সব স্মৃতিগল্পদের ব্যর্থ অবতারে ছলাৎছল অর্গাজমে ফুরোয় দেয়ালা, সময়ের থেকে খসে পড়ে অনুপল – ইত্যাদি বোধ, “প্রভু নষ্ট হয়ে যাই।”
উজানে ভেসেছে যত স্তিমিত আবেশ, তারা পর্ব ভাগ করে করে বিকল্পের সন্ধানে হেঁটে গেছে দূরান্তের দিকে, স্বরলিপি জানে উৎসরণের গভীরে থাকে একা ঘাট।
অভিকর্ষের বিপরীতে সিঁড়ির আত্মস্থ টান, ভুলে যাওয়া – সাঁতার জানি না, জলে ভয়, বানভাসি গ্রাম
খুঁজে ঠিক বের করা গেল শিকড়ে আটকে থাকা শব, বৃথা এই দেহ! আবহের পরতে পরতে এসে থেমে গেছে মীনজন্মের লোকশ্রুতি।
তারিখঃ জুলাই ২, ২০২১