কিছু কথা
রোমেল চৌধুরী
১
কবি ও কবিতা
Poetry is the expression of the imagination. In it diverse things are brought together in harmony instead of being separated through analysis.
(Percy Bysshe Shelley, English poet, 1792–1822, Defence of Poetry)
কবিতা কল্পনার অভিব্যক্তি। বিচিত্র বিষয়ের মিলনের আয়োজন। বিশ্লেষ নয় সংশ্লেষ।
কবিতা সম্পর্কে আরেকটি প্রাজ্ঞ প্রবচন হলো এই যে, “কবি তাঁর নিজের সাথে নিজেই কথা বলেন, আর আমরা পাঠকেরা আড়াল থেকে সেই কথাগুলো শুনে ফেলি। অর্থাৎ কবিতা আর কিছুই নয়, কবির স্বগত-সংলাপ মাত্র”। জীবনানন্দের ভাষায়, “সে কেন জলের মতো ঘুরে-ঘুরে একা কথা কয়!” তবু এমন নিশ্চিত করে কি বলা যায়? জনারণ্যে উচ্চকিত শ্লোগানকে কি আমরা কখনো কবিতার পঙক্তিমালায় আড়ম্বরে স্থান করে নিতে দেখিনি?
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁর “কবিতার কী ও কেন” গ্রন্থে বলেছেন, “কবিতা এই পৃথিবীর গোপন সৌন্দর্যকে গুণ্ঠন-মুক্ত করে দেখায়, এবং এমন ভাবে দেখায় যে, যেসব বস্তুকে আমরা চিনি তাদেরও যেন অচেনা ঠেকতে থাকে”। মোক্ষম কথা। কৃতিত্ব উন্মোচনে নয়, কৃতিত্ব অচেনার মতো করে দেখানোতে। শুধু কি সৌন্দর্যের গুণ্ঠন-মুক্তি? যদি কোন পঙক্তিমালায় অসুন্দরের গুণ্ঠন-মুক্তি ঘটে, তবে কি তাকে কবিতার মর্যাদা দেয়া যাবে না? যুগে যুগে কবিতা যেমন সুন্দরের চর্চা করেছে, অসুন্দরের চর্চাও কি ক্বচিৎ করে নি? বোদলেয়ার পড়লে আমাদের এমন সন্দেহ জাগে কি? বোদলেয়ার সচেতনভাবেই পাপচর্চা করেছিলেন এবং তা থেকে আনন্দ আহরণ করেছিলেন। বোদলেয়ারের ছিল ‘অরিজিনাল সিন’বা ‘আদিম পাপ’।
তবে একথা নিশ্চিত করে বলা যায়, কবিতা হচ্ছে সত্যানুসন্ধান। ফ্রাঞ্জ কাফকা বলেছেন, “Poetry is always a search for the truth”। কবিকে তাই সত্যদ্রষ্টা হতে হয়। রূপ-নারানের কূলে জেগে উঠে সত্যকে ভালোবেসে আপন রক্তের অক্ষরে লিখে যেতে হয়। সেই সত্য বড় কঠিন, তবু তাকে ভালবাসতে হয়, এই জেনে যে সত্য কখনো বঞ্চনা করে না।
শুধুই কি সত্যানুসন্ধান? না, অনেক বিতর্কিত হলেও আমি মনে করি, সত্যের পথে দিক নির্দেশ করা কবির অন্যতম দায়িত্ব। সমাজের তমসা ও ক্রান্তিলগ্নে কবি ও পয়গম্বরের দায়িত্ব অনেকটা একই রকম। ‘কন্ট্রাপ্যাসো’ হলো একধরনের কাব্যিক বিচার যা দান্তের ‘ইনফেরনো’তে বহুল ব্যবহৃত। এমন বিচারে কৃত পাপের সাথে সাযুজ্যপূর্ণ কিম্বা বিপরীত ধারার শাস্তি প্রদেয়। নরকের চতুর্থ বৃত্তে এমন ধারার শাস্তিতে ব্যর্থ জ্যোতির্বিদ, মেকী পয়গম্বর কিম্বা যাদুকরদের মাথা পেছনের দিকে ঘুরিয়ে দেয়া হয় আর বলা হয় পিছ মুখো হয়েই উল্টোরথে হেঁটে যেতে হবে পেরিয়ে আসা পশ্চাতের পথে। কারণ তাঁদের দূরদৃষ্টি ব্যর্থ হয়েছিল ঠিক ঠিক ভবিষ্য দর্শনে। কবির ক্ষেত্রেও কন্ট্রাপ্যাসো প্রযোজ্য।
‘কবি’ শব্দটি নিয়ে আমার নিজস্ব একটা বিবেচনা আছে। জীবনানন্দ বলেছেন, “সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি।” আমি মনে করি, শুধু তাই নয়, ওই ‘কেউ কেউ কবি’-দের মধ্যে কোন ‘কবি’-ই সর্বদা কবি নন। অর্থাৎ, ‘কবি’-ও একজন সাধারণ মানুষ। কোন এক বিশেষ মুহূর্তে, কোন এক পরিপ্রেক্ষিতে, এক বিশেষ মানসিক অবস্থায় তাঁর মন যখন আবেগের ভরা নদী; মাতাল ঋত্বিকের মতো বোধের মজ্জায় যখন অনুভব করেন সত্যভাষণের অমোঘ টান; শুধু সেই মুহূর্তেই তিনি যেন কবি হয়ে ওঠেন। কেউ যেন তাঁকে দিয়ে লিখিয়ে নেয় কিছু। সেই লেখার সবটুকুই যে কাব্যত্তীর্ণ হয়, তা নয়। কিছুটা সাধারণ–তাই ফেলনা যায়। কিছুটা হয়ত কাব্যগন্ধী হয়। তবু এরই মধ্যে একটি কি দু’টি পঙক্তি বিস্ময়কর শক্তি নিয়ে অবিস্মরণীয় হয়। যুগ যুগ ধরে আমাদের মনের মণিকোঠায় তারাপুঞ্জের মত জ্বলে, আলো ছড়িয়ে যায়, ছড়াতেই থাকে। এই তারাগুলিই আসলে কবিতার প্রাণ। উদাহরণ দিই,
“ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত”
“সে কেন জলের মতো ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়?”
একটি কথার দ্বিধা থরো থরো চূড়ে
ভর করেছিল সাতটি অমরাবতী”
“যত নীল আকাশেরা র’য়ে গেছে খুঁজে ফেরে আরো নীল আকাশের তল;”
“সে কি জানিত না আমি তারে যত জানি
আনখ সমুদ্দুর”
“অনেক ভেবেছি আমি, অনেক ছোবল নিয়ে প্রাণে
জেনেছি বিদীর্ণ হওয়া কাকে বলে, কাকে বলে নীল
আকাশের হৃদয়ের; কাকে বলে নির্বিকার পাখি।“
“মা বকুক, বাবা তার বেদনা দেখুক!”
২
উপমা ও রূপক
A simile compares two things to create a meaning, while a metaphor is a figure of speech that makes use of something to mean something else.
“উপমাতেই কবিত্ব”– জীবনানন্দ দাশ
“শূন্য হাঁড়ির গহ্বরে অবিরত
শাদা ভাত ঠিক উঠবেই ফুটে তারাপুঞ্জের মতো”
‘শূন্য হাঁড়ির গহ্বর’-কে রাতের অতল অন্ধকারময় আকাশের সাথে আর সেখানে বলগ দিয়ে ওঠা গুচ্ছ গুচ্ছ শাদা ভাতকে রাতের আকাশে ফুটে ওঠা তারাপুঞ্জের সাথে তুলনা করা একেবারেই অভুতভাবিত, অত্যাশ্চর্য, অদ্বিতীয়।
সুতরাং কেবল তুলনা করলেই আমরা অভিভূত হই না। বরং আমরা শব্দের সাঁকো রচনায় এমন ম্যাজিক দেখতে চাই যা আমাদের বিস্মিত করে, আশ্চর্যান্বিত করে, তড়িতাহত করে। এই ম্যাজিশিয়ানটি তাঁর ঝুলি থেকে একেক বার একেকটি আশ্চর্য বস্তু বের করে দেখান। সেই বস্তুগুলির প্রত্যেকটি নবতর বিস্ময়ে ঠাসা। স্মরণের বেলাভূমিতে এইসব বস্তুগুলি চিরস্থায়ী দাগ কেটে যায়।
A metaphor is an equation while simile is an approximation.
“চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা”
জীবনানন্দের কবিতার এই রূপকটি আমাকে বারবার অভিভূত করে। চুলের কালো রঙের গভীরতাকে ‘বিদিশা’ নগরীর রাত্রির অন্ধকারের তীব্রতার সাথে তুলনা করে রূপকটি পাঠকের বোধকে সমৃদ্ধ করে।
‘বিদিশা’ একটি ব্যঞ্জনা। তবু শুধুই কি ‘বিদিশা’? একটু ভালো করে যদি দেখি, দেখব ‘বিদিশা’ শুধুই ‘বিদিশা’ নয়; শুধুই ‘বিদিশার নিশা’ নয়; শুধুই ‘অন্ধকার বিদিশার নিশা’ নয়; ‘কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা’।
দেখুন, সুদূর অতীতের নান্দনিক কল্পলোকে পাঠককে নিয়ে যেতে কবি ধাপে ধাপে কি চমৎকার দোলা দিয়ে গেছেন। চুলকে শুধুমাত্র ‘নিশা’র সাথে তুলনা করতে পারতেন তিনি। কিন্তু তা না করে প্রথমে আলতো করে একটু দোলা দেবার পর দোলনাটিকে যেন আরেকটু জোরে দুলিয়ে দিলেন ‘বিদিশার নিশা’ বলে। ‘বিদিশা’ ব্যঞ্জনাটি যেন রাত্রির গায়ে অতীতের চিহ্ন এঁকে দিয়ে রূপকল্পটিকে আরো রহস্যময়ী করে তুললো। সেখানেই থেমে রইলেন না কবি, উপর্যুপরি দোলায় বিদিশাকে আমরা দেখতে পেলাম রহস্যময় অন্ধকারের উদরে নিমজ্জিত অবস্থায়। সবচাইতে চুম্বক যে শব্দটি, ‘কবেকার’, শেষ তালাটি খুলবার যাদুর চাবি, সময়ের তল-বেধ-আকারকে একাকার করে দিল। আমরা অতীতে গেলাম ঠিকই, কিন্তু নির্দিষ্ট কোন অতীতে আটকে থাকলাম না। কবেকার সেই সুদূর অতীতে আমাদের পদচ্ছাপ পড়লো, তা কি হাজার বছরের আগে, নাকি আরো আরো আগে? আমরা নিশ্চিত হতে না পারার ভালোলাগা নিয়ে ভাসতে থাকি অতলান্ত কালের বিবরে। আরো একটি জিনিস লক্ষ্য করুন। রূপকটিতে পাঠকের দোল খেতে খেতে ভেসে থাকবার অনুভূতিকে গাঢ় করবার জন্য কবি সৃষ্টি করেছেন ‘র’-অন্ত একটি অনুপ্রাসের দোলা।
তার> কবেকার> অন্ধকার> বিদিশার> নিশা
রূপককে কিভাবে বিস্তৃত করা যায় এবার সেটাই দেখি।
[. . .]
My images are
Transparent like windows in a church:
Through them
One can see
How the light of the sky shifts
And how my loves
Fall
Like dying birds.
(Lea Goldberg, “About Myself,” Lea Goldberg: Selected Poetry and Drama, trans.)
কবি বলেছেন, তাঁর নিজের প্রতিবিম্বগুলি চার্চের কাচের জানালার মতো স্বচ্ছ; যার মধ্যে দিয়ে দেখা যায় আকাশে আলোর মাতামাতি। ঠিক পরপরই কবি বললেন, এবং এই প্রতিবিম্বগুলি, যেগুলো কাচের জানালার মতো স্বচ্ছ, সেগুলোতে আছড়ে মরে তাঁর ভালোবাসাগুলি, মরণোন্মুখ পাখির মতো।
বস্তুতপক্ষে, একটি রূপক নয়, একটি রূপকের ভেতরে আরেকটি রূপক এখানে গেঁথে দেয়া আছে। কি হতে পারে কবির প্রতিবিম্ব? কল্পনা করে নিতে পারি, কবিতাই হচ্ছে কবির সবচেয়ে নিকট প্রতিবিম্ব। অর্থাৎ, কবি তাঁর নিজের কবিতাকে নিজেরই প্রতিবিম্বের রূপকে উদ্ভাসিত করেছেন। সেই সাথে নিজের প্রতিবিম্বকে তুলনা করেছেন চার্চের কাচের জানালার মতো স্বচ্ছতার সাথে। এভাবেই তিনি একটি রূপকের ভেতরে কি অদ্ভুত কৌশলে আরেকটি রূপক পুরে দিলেন।
পরিণতির কথা বলেছেন। মরণোন্মুখ পাখির ঝাঁক স্বচ্ছ কাচের জানালা দেখতে পায় না, তারা দেখতে পায় চার্চের ভেতরটা, ভেতরটায় ঠাঁই পাবার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ছুটে আসে, কিন্তু তাদের আত্মাহুতি দিতে হয় কাচের জানালায় আছড়ে পড়ে। তেমনি কবির ভালোবাসাগুলো আছড়ে পড়ে কবিতে নয়, কবির প্রতিবিম্বে। কবিতায় কবি যা বলতে চেয়েছেন, তা যদি সরাসরি বলে ফেলতেন, তবে কি কবিতাটি পাঠকের মনের গভীরে তেমন করে প্রবেশ্যতা পেত? আলবৎ নয়।
৩
আবিষ্কার নাকি উদ্ভাবন
কবিতা আবিষ্কার না উদ্ভাবন? এই নিখিল বিশ্বে অনাবিষ্কৃত যা কিছু আছে, কলম্বাসের আমেরিকা মহাদেশ আবিষ্কারের মতো তাকে খুঁজে পাওয়া? নাকি উদ্ভাবন, অর্থাৎ যা বিদ্যমান নেই তাকে একেবারেই প্রথম সৃষ্টি করা? প্রচলিত ধারণা এমন যে, কবিতা অবশ্যই উদ্ভাবন। তাই কবিকে প্রতিনিয়ত হতে হবে স্রষ্টা, সৃষ্টি করতে হবে এমন কিছুকে যা ইতিপূর্বে ছিল না, সৃষ্টিশীলতা ও কল্পনা তাই সহোদরা। কবি তাঁর কল্পনার চোখ দিয়ে তা-ই দেখবেন, অন্যেরা যা দেখবে না। তাঁর দৃষ্টি হবে সাধারণের দৃষ্টির চাইতে বহুগুণ অন্তর্ভেদী।
তবে কি কবি সাধারণ মানুষ নন? কিংবা একজন সাধারণ মানুষ কি কবি নন? উত্তর হলো, ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’। অবশ্যই তিনি সাধারণ মানুষ, কিন্তু যখন তিনি সাধারণের দৃষ্টির চাইতে বহুগুণ অন্তর্ভেদী দৃষ্টি নিয়ে অভুতভাবিত কিছু আবিষ্কার করেন, তখনই তিনি কবি হয়ে উঠেন, সে সময়ে তিনি সাধারণ্যের অনেক উপরে। তখনই তাঁর আবিষ্কৃত শব্দমালায় সজ্জিত রূপকল্পটি কবিতা হয়ে উঠে। লক্ষ্য করুন, আমি ‘আবিষ্কার’ শব্দটি ব্যবহার করেছি। অর্থাৎ আমি বলতে চাই, কবি স্রষ্টা নন আবিষ্কর্তা। কবি অনেকাংশে নিপুণ গণিতবিদের মতো, যার কাজ লুকোনো প্যাটার্ন খুঁজে বের করা।
Careful angels threaded fate within fate,
Their hands shook not, nothing dropped or fell.
(Yehuda Amichai, “Twenty New Rubaiyat,” Poems)
ওপরের কবিতায় একটি চিরন্তন সত্যকে প্রকাশিত হতে দেখি। সত্যটি হলো, আমাদের ভাগ্য আমাদের হাতে সমর্পিত নয়, আমাদের ভাগ্য সূক্ষ্ম সুতোয় বোনা, সেই সুতোই আমাদের ভাগ্যের নিয়ন্তা। বিষয়টি কোন নতুন উদ্ভাবন নয়, কিন্তু তবুও সুন্দর। সুন্দর, কারণ এখানে একটি চিরন্তন সত্যের প্রকাশ ঘটেছে; তদুপরি সেই প্রকাশ ভঙ্গিমা চাঁছাছোলা গতানুগতিক নয় বরং নান্দনিক ও সৌকর্যমন্ডিত।
‘Beauty is truth, truth beauty’—that is all
Ye know on earth, and all ye need to know.
(John Keats, “Ode on a Grecian Urn”)__
৪
সৌন্দর্য, সংক্ষেপ ও অভূতভাবিতা
কবিতায় আমরা নিতান্ত সাদামাটা ঘটনারও চমকপ্রদ উপস্থাপন প্রত্যাশা করি। প্রত্যাশা করি সে উপস্থাপনা হবে সৌন্দর্যমণ্ডিত ও বাক-সংকোচিত। সেই উপস্থাপনায় থাকবে ম্যাজিক, থাকবে অভুতভাবিতা, থাকবে লুকনো মিলের সমারোহ। কবিতার দেহ চষে সেই মিল খুঁজে পেতে শ্রম হবে ঠিকই, কিন্তু যখন সেই মিল খুঁজে পাব, তখন যুদ্ধজয়ের মতো কষ্ট লব্ধ আনন্দ হবে, মন ভরে যাবে নান্দনিক আনন্দের বন্যায়। কবিতায় শক্তিশালী বার্তা থাকতেই পারে, কিন্তু যখন আমরা একটি শক্তিশালী বার্তা খুঁজে পাব, সেই বার্তা নিছক স্লোগান হবে না, সেই বার্তার ভেতর দিয়ে অন্তঃসলিলা ফল্গুধারার মতো একটা নিগূঢ় সৌন্দর্য এসে বুদ্ধিদীপ্যতায় অথবা অথবা আবেগের তীব্রতায় আমাদের মনকে বিবশ করে দেবে।
মহাকাব্য কবেই হারিয়েছে। দীর্ঘ রচনা পাঠে পাঠকের ধৈর্য ফুরিয়েছে। এখন অণুগল্প, অণুকাব্যের চাহিদা। রচনার দৈর্ঘ্য কমে কমুক তাতে তেমন ক্ষতিবৃদ্ধি নেই, গভীরতা যেন না কমে। জাপানী হাইকুর দিকে তাকালে সেই বিন্দুর বুকে আমরা সিন্ধু আবিষ্কার করেই অভিভূত হই। আগামী দিনের কবিতা আরো গভীর হবে। মিল-ছন্দ-প্রকরণ ঢুকে যাবে কবিতার শরীরের গভীরে। এত গভীরে যে, সেই সৌন্দর্যের আবিষ্কার সহজসাধ্য হবে না; তবু তা হবে তীব্র আনন্দের।
তারিখঃ এপ্রিল ৯, ২০২১