চড়াই পাখীর ছড়া

জীবনের ক্যানভাসে হাজারো মানুষের ভিড়। সেই ভিড়ে একাকার অজস্র মুখ। কেমন ধোঁয়া ধোঁয়া অবয়বহীন। তেমনই একজনের নাম সাদিক। নেহাত  মোবাইল ফোনের কন্ট্যক্ট লিস্টে নামটা জমা ছিল।

অনেক বছর পরে, আচমকা মাস তিনেক আগে পথচলতি দেখা হওয়া আর ওর ” দাদা কেমন আছেন?” প্রশ্নের উত্তরে কুশল বিনিময় এবং মামুলী দু’চার কথার পর যখন যে যার পথে, কিছুতেই নামটা, কি সূত্রে পরিচয়, মনে মনে করতে পারছিলাম না। আমার আপাত সহজ ব্যবহারে হয়ত ও সেটা বুঝতে পারেনি। এই এক গেরো। আজকাল বড় এইসব হয়। কি যে অস্বস্তি! ভাবলাম একবার মোবাইল ঘেঁটে দেখি, কোনো সূত্র পাই কিনা। খুঁজতে চোখ আটকে গেল ‘সাদিক আলি মণ্ডল, কাগজ-ওলা’ দেখে।

তখন সবে কিছুদিন নতুন এলাকায়, বাড়ি দেখে উঠে এসেছি। সেটা দক্ষিণ – পশ্চিম কলকাতা। প্রায় বছর কুড়ি আগের কথা। সাদিক একদিন বাড়ি বয়ে  এসে পরিচয় দিয়ে আলাপ জমিয়ে গেল। “এই পাড়ায় আমি জমা কাগজ নিয়ে যাই দাদা, ওজন আর দাম নিয়ে ভাববেন না।………… আমার শুধু একটা মানুষের খাওয়া পরার দায়। ঝোঁকের পাল্লা টেনে কি লাভ বলুন?”

হাসিখুশি ছেলেটিকে ভাল লেগে গেল। পেটে বিদ্যেও আছে। নয় ক্লাস পার করে আর পড়ে নি। কালো, পাতলা, লম্বা; একমাথা ঝাঁকড়া চুল আর গালভরা হাসি নিয়ে এরপর বহু বছর ও ঘুরে ঘুরে আসা যাওয়া করত। আমার ছেলে তখন ছোট, ওর জন্য লজেন্স নিয়ে আসত, বারণ করলেও শুনত না। ওর সাথে বকবক  করত, মুখে মুখে ছড়া কাটত। পাখীর ছড়া। মাঝেমাঝে বলত “দাদা, একদিন আমাদের গ্রামের বাড়িতে চলুন, খুব ভাল লাগবে।  আমার ভাইপোরা আছে, বাবুর খুব মজা হবে” গলায় নিখাদ আন্তরিকতার ছোঁয়া।  শুনেছিলাম ওর বাবা- মা নেই; তবে দাদা-বৌদি, ভাইপোদের নিয়ে ওদের জমাট সংসার। বিঘে তিনেক জমি আছে, চাষবাসও হয় নিয়মিত। দাদাই সব দেখাশোনা করে। দাদার একটা গ্রিল তৈরির কারখানাও আছে।

কিন্তু এত সব কথা পেড়ে বসার দরকার ছিল না যদি না আবার কিছুদিনের মধ্যেই ওর মুখোমুখি দাঁড়াতে হত।

সপ্তাহ দুই আগে এক অসুস্থ আত্মীয়াকে দেখতে মেডিকেল কলেজ হসপিটালে গিয়েছিলাম। দেখা সাক্ষাতের পর ইডেন হসপিটালের দিক থেকে বৌবাজার মেট্রো স্টেশনে যাব বলে বেরিয়েছি, উল্টো ফুটপাতে, ডেকচিতে দুধ-চা ফুটতে দেখে চা তেষ্টা পেয়ে গেল। বড় ভাঁড় চা বলে বেঞ্চিতে বসেছি, কানে বাজলো ” দাদা, এখানে?” ঘুরে দেখি সেই অনাবিল হাসি মাখা মুখ। আজ লক্ষ্য করলাম ঝাঁকড়া চুলগুলো অনেক সাদা হয়ে গেছে, কেমন যেন একটু কাত হয়ে সামান্য ঝুঁকে কথা বলছে। ” কি দাদা, আজও……. ”

ঈষৎ লজ্জা পেয়ে বললাম ” না না সাদিক, সে’দিন, অত বছর পর ঠিক……  তবে তোমার চোখ আছে, আমায় ঠিক চিনতে পেরেছিলে। তাছাড়া পরে সব খেয়াল পড়েছিল।”

সাদিক হাসে, বলে “দাদা, বাবুকে আমার কথা বলেছিলেন……..ভুলে গেছিলেন না?”

আমি ঠোঁটে হ্যাঁ-না গোছের হাসি ঝুলিয়ে প্রসঙ্গ পালটে নিলাম। “তুমি এখানে কি করছ?”  লক্ষ্য করছিলাম কিছু বলেই ও শোনার জন্য বাড়তি ঝুঁকে পড়ছে আর এতক্ষণে খেয়াল হল, ওর পিছনে একটা ছোট ছেলে দাঁড়িয়ে। হয়ত ওর আপনজন কেউ হবে।

“আমি চা খাওয়াব দাদা, এটা আমার পাড়া।” সাদিক আবদারের স্বরে বলে। চায়ের দোকানের ছেলেটা ততক্ষণে তিন জনের হাতেই চায়ের ভাঁড় ধরিয়ে দিয়েছে।

“আমার একটা রোগ হয়েছে দাদা। ডাক্তার যা বোঝায় তাতে এই কান-মাথার ভিতরে কিছু একটা…. ওই টিউমোর হয়েছে। তাও ধর দু’বছর ধরে এই মেডিকেলে চিকিচ্ছা  হচ্ছে।” সাদিক হাসে। অমলিন সে হাসি।

শুনে খারাপ লাগছিল। তা হলে এখানে ডাক্তার দেখাতে আসা, কিন্তু আমার পাড়া বলল কেন….. ভাবতে ভাবতে আনমনা হয়ে পড়েছিলাম। সাদিকের গলায় ঘোর কাটল, “দাদা, আসবেন একবার আমার ঘরে?”

সেই আন্তরিকতা। চায়ের ভাঁড়ে শেষ চুমুকটা দিয়ে কি মনে হল, বললাম, “বেশ চলো।”

আগে আগে চলল সাদিক, তার হাত ধরে সঙ্গের ছেলেটি। কেমন একদিকে টাল খেয়ে চলছিল সে। আমার যাবার ছিল সেন্ট্রাল এভিনিউ-র দিকে, চললাম বৌবাজার স্ট্রীটের দিকে। ট্রাম লাইন পার হয়ে প্রেমচাঁদ বড়াল স্ট্রীট ধরতেই আমার অস্বস্তি শুরু। সহানুভূতির পালে হাওয়া লাগিয়ে এ কোথায় চললাম? সাদিক বোধহয় বুঝেই, আশ্বস্ত করতে বলে উঠল “এসে গেছি।”

পাড়ার মোড় থেকে কয়েক মিনিটের পথ উজিয়ে বাঁ হাতে সরু গলি। তিনতলা মলিন বাড়ীটার সামনে এসে আর ঢুকতে ইচ্ছা করছিল না। তবু স্যাঁতসেঁতে দমবন্ধ করা পরিসর হয়ে ভিতর বাড়ির একটা ঘরে যখন পৌঁছলাম, হেমন্তের বিকেল ফুরিয়ে বাইরে তখন সন্ধ্যা নেমে গেছে।

সেদিন ওই ঘরে, দু’ঘন্টারও বেশী সময় কাটিয়ে ছিলাম। আসার সময় ওর প্রেসক্রিপশনের একটা কপি নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলাম, কেমন একটা ঘোরের মধ্যে। এ কেমন মানুষ দেখেশুনে ফিরলাম। গতানুগতিকতার ভিড় ছাপিয়ে নিজ মহিমায় উজ্জ্বল কিন্তু সে কথায় পরে আসছি।

সেদিন বাড়ি ফিরে এসে স্ত্রী ও ছেলেকে সব কথা বললাম। “জানো, মানুষটার আপনজন, সাবালক হয়ে যাওয়া প্রিয় ভাইপোরা দিব্যি রোগ-ভোগা কাকাকে ভূতে-পাওয়া ভেবে বাড়িছাড়া করেছে। ওর মধ্যে কোন ক্ষ্যাপামি  বা পাগলামো, কিছুই তো ছিল না। অপরাধের মধ্যে শুধু চলতে ফিরতে মাঝে এক আধ বার টাল খেয়ে পড়ে যেত। তবে হ্যাঁ,  আগের মত কাম কাজ করত না, তাই টাকা কড়ি সংসারে  আসত না। আগডুম বাগডুম ছড়া কাটা ছাড়া আর কোন কাজ ছিলনা।”

এবার আমার এক ডাক্তার বন্ধুকে ধরলাম। “দ্যাখ তো ভাই ব্যাপারটা।” প্রেস্ক্রিপশনের কপি ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র দেখতে দেখতে ওর চোখ-মুখের অভিব্যক্তি পালটে যেতে দেখলাম। “একে তুই কোথায় পেলি?” প্রশ্নের মধ্যে যুগপৎ কৌতূহল ও বিস্ময়।

“কি ব্যাপার বল তো? এমন অবাক হবার মত কি দেখলি? কঠিন কিছু?”

বন্ধু মুখের দিকে কয়েক মুহূর্ত চেয়ে থেকে বলল, “হ্যাঁ, কঠিনই বটে। এ’ মারবে না, ভাল ভাবে বাঁচতেও দেবে না।”

“হেঁয়ালি ছেড়ে একটু বুঝিয়ে বলবি?”

“দ্যাখ, ডাক্তারবাবু যা লিখেছেন, পরীক্ষা নিরীক্ষায় যা পাওয়া গেছে তার নাম হল একাউস্টিক নিউরোমা, বিদঘুটে জায়গায় একটা সিস্ট হয়েছে। আমাদের কানের ভিতর অংশের সাথে মস্তিষ্কের যোগসূত্র  ‘এইটথ ক্রেনিয়াল নার্ভ’ এর ওপর। এই নার্ভ  আমাদের কানে শোনা, হাঁটাচলার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে।……… জানিস,  বিরল রোগের তালিকায় থাকা এই রোগের কারণ আজ অবধি নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।” বন্ধু চুপ করে যায়। আমিও চুপ। তারপর আবার বলে, “এই সিস্টগুলো সাধারণত বিনাইন হয় কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে তিল তিল করে বাড়ে। একটু একটু করে অক্ষম করে। যে দিকে হয়, সে দিকের শোনার ক্ষমতা কমে। শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়। মাপে যত বাড়ে, অন্য এরিয়ায় চাপ ছড়ায়। চোখের দৃষ্টি যেতে পারে, ফেসিয়াল প্যারালিসিস হওয়ার সম্ভাবনাও যথেষ্ট।”

একমনে শুনছিলাম। বললাম “এর চিকিৎসা, মানে সার্জারি তো হয়?”

“হ্যাঁ হয়। মাইক্রো সার্জারি, রেডিয়েশন থেরাপি, সবই হয় কিন্তু বুঝিস তো, ইটস নট এন ইজি জব ডান। রিকারেন্সের চান্স যথেষ্ট আছে।”

আমি বুঝলাম সমস্যার জড় কোথায়। বন্ধুকে সংক্ষেপে সাদিকের কথা বললাম।

“কি করা যায়?”

“কিচ্ছু না, তুই কিছুই করতে পারবি না। ওষুধপত্র যা দিয়েছে খাবে, সময় মত চেক আপে যাবে। হাসপাতালের ডাক্তারবাবু তো ঠিকঠাক  চিকিৎসাই করছে।

বাড়ি ফিরে এলাম। রাতে শুয়ে অজস্র ভাবনার ফাঁক গলে সাদিক ভেসে উঠল। কপাট খুলে গেল স্যাঁতস্যাঁতে একতলায় একটা ঘরের। এক কোনে একটা তক্তপোশ, ঘর জুড়ে পুরনো খবর কাগজের তৈরি নানা মাপের ক্যারি ব্যাগ, ম্যাগাজিনের রঙিন পাতা কেটে তৈরি রঙচঙে ডাস্টবিন, টেবিলে রাখার ষ্টেশনারী বক্স, আরও অনেক কিছু। ইতস্তত ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে ছোট কয়েকটি ছেলেমেয়ে এক মনে রকমারি জিনিষ বানিয়ে চলেছে।

সাদিক আমাকে সেইদিন বলেছিল, কিভাবে পাকেচক্রে মথুরাপুরের প্রান্তিক গ্রাম থেকে গৃহচ্যুত হয়ে এই পাড়ায় তার ঠাঁই হয়েছিল। গ্রামের পাকা চোর নোদা ক’দিন থাকতে দিয়েছিল ওর ঘরে। ল্যাংটা বেলার সাথী। কারণে অকারণে হাত পাতত ওর কাছে। আজ তারই সাহায্যে, বদান্যতায় শহরে আসা।

প্রেমচাঁদ বড়াল স্ট্রীটে নোদার বহু দিন ধরে যাতায়াত। চায়না, শাকিলাদের ঘরে একদিন দিন দুম করে সাদিককে নিয়ে হাজির নোদা। দুদিন থাকার জায়গা ম্যানেজ করে হাসপাতালে দেখানোর ব্যবস্থাও হইয়ে গেল সে’খান থেকে।

সেই শুরু। হাসিখুশি, মিশুকে ছড়াকাটা লোকটা কেমন করে যেন ওখানেই রয়ে গেল। কিছুদিন নিজের সামান্য জমা পুঁজি ভেঙ্গে চলল, তারপর ভোলানাথ রক্ষিতের বাড়ির একতলায় থাকা খাওয়া আর অনেকগুলো ঘর জুড়ে ব্যবসার মালপত্র বিনা মাইনেতে একটু শুয়ে বসে নজরে রাখার কাজ জুটে গেল।

ওই পাড়াটা কুখ্যাত। ওখানে চায়না, শঙ্করী,  শাকিলাদের শরীর সস্তায় বিকোয় আর ওদের ছেলেমেয়েরা আগাছার মত বাড়ে। সাদিক সেদিন বলছিল  কিভাবে ওই পাড়ায় সক্রিয় এক  স্বেচ্ছাসেবী  সংস্থার সাথে ওর পরিচয় হয়। সাদিক তাদের বুদ্ধিটা দেয়।  ও একসময় এক মহিলাকে তার ব্যবসার জন্য খবর কাগজ, ম্যাগাজিন নিয়মিত যোগান দিত। নিজের চোখে সে’সবের  সদ্ব্যবহার দেখেছে। তারপর প্রচার, বাচ্চাদের মায়েদের বুঝিয়ে, মাত্র দুজনকে নিয়ে প্রথম যেদিন শুরু হল কাগজ, বোর্ড, কাঁচি আঠা, দড়ি-দড়া নিয়ে কাজ, পাগলামো ভেবে কেউ আমল দেয়নি। একটু একটু করে আস্থা, কাজের লোক বেড়েছে। ওদের তৈরি বিবিধ সামগ্রী ধীরে হলেও প্রচার এবং বাজার পেয়েছে। আজ ভোলানাথ রক্ষিতও এই কাজে অর্থ লগ্নীতে আগ্রহী। সেদিন চায়ের দোকানে  সাদিকের সঙ্গে থাকা ছেলেটি এদেরই একজন। এরা কখনো ওকে একলা রাস্তায় ছাড়ে না।

কিছুদিন ব্যস্ত পড়েছিলাম। অফিসের কাজের চাপে ঘরে কাজ টেনে আনতে হয়েছে। একদিন মনে হল সাদিককে একবার ফোন করলে হয়। ফোন করতে বলল “সুইচড অফ”। মনটা খারাপ হয়ে গেল। আর কোথাও তো যোগাযোগের উপায় নেই। ভাবলাম সামনের সপ্তাহে একদিন যাব,  দেখা করে আসব সাদিকের সাথে।

দিনটা ছিল শনিবার। বিকেল বিকেল সেই বাড়ীতে পৌঁছে দেখি ঘর লণ্ডভণ্ড। কেউ কোথাও নেই। শুনেছিলাম, ভোলানাথ বাবু দোতলায় থাকেন। দ্বিধান্বিত পায়ে উঠে গেলাম উপরে। বেল বাজাতে উনি নিজেই বেরিয়ে এলেন। “আপনি এসেছেন?” ওনার চোখে মুখে শঙ্কা। “ভিতরে আসুন।”

অস্থির আশঙ্কা নিয়ে প্রশ্ন করলাম ” কি হয়েছে, সবাই কোথায়, সাদিক?”

ভোলানাথ বাবু মাথা নাড়লেন। বললেন, “যতদিন ওই ব্যাপারটা ছোটোখাটো ছিল ততদিন যাহোক ঠিক ছিল। কিন্তু বেশ্যা পাড়ার ছেলেপুলেরা কাজ  করলে, পড়াশুনা করলে চলবে কি করে। বেশ্যার মেয়ে বেশ্যা হবে, ছেলেগুলো দালাল হবে, মারদাঙ্গা করবে, এটাই নিয়ম। খুচরো ঝামেলা, ভয় দেখানো এ সব আগে থেকেই  চলছিল। বুধবার দুপুরে তেনারা দল বেঁধে দশ-বারো জন এলেন। ঘর, গুদাম সব তছনছ করে গেছে।”

“আর সাদিক?”

“জানিনা, আমি বড়বাজার গিয়েছিলাম। ফিরে থেকে তাকে আর দেখিনি।”

“পুলিশে খবর। দেওয়া হয় নি?”

“কে দেবে? ওই কিছু লোকজন, যারা বিক্রি বাট্টায় সাহায্য করত, পরে এসেছিল। থানায়ও গিয়েছিল। পাত্তা দেয়নি।”

“কিন্তু একটা অসুস্থ মানুষ, তার কোনো খোঁজ হল না?”

নাহ! এরপর সাদিকের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমার মত করে কিছু চেষ্টা করেছিলাম, কোনো লাভ হয়নি।

শেষ যে দিন ওর সাথে দেখা হয়েছিল, চলে আসব এমন সময় ও বলে উঠেছিল , “দাদা, একটা নতুন ছড়া বেঁধেছি, চড়াই পাখীর ছড়া। শুনবেন?”

আমার মাথা নাড়া দেখে সেই অমলিন হাসি-

 

চড়াই পাখীর মটর দানা

ঠোঁট থেকে যেই পড়ে গেল

টপ করে তা তুলতে গিয়ে

কাঁটার খোঁচা মাথায় খেলো

রক্ত রাঙা কপাল যে তার

হেসে বলল সিঁদুর মাখা

দুচোখ যখন রক্তে ভাসে

কাক শকুনে ঠুকরে মাথা

ঝোপের নীচে গড়িয়ে পড়ে

ছোট্ট শরীর, অসাড় ডানা

ধুকপুকানি বুকের ভিতর।

তারিখঃ জানুয়ারি ১০, ২০২১

Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

প্রকাশক - Publisher

Site By-iconAstuteHorse