তুরন্ত প্ল্যানের দূরন্ত ট্যুরঃ
সুলতানা রচনা
আমাদের পরিভ্রমণ পার্টনারের এক পরিবার করোনায় আক্রান্ত আর অন্য পরিবারের সদ্য মুক্তি মিলেছে। অন্যদিকে আমরা আছি আতংকে। তো করোনার এই ভীষণ কাটতি কালে কুপ্রস্তাবটা(আমার তাই মনে হয়েছে) আসলো দ্বিতীয় পরিবার থেকে।চলো, দূর্গা পূজার ছুটিকে সিলেটে ঘুরে পূজনীয় করে ফেলি।এখন!ওদেরকে ফেলে!দ্বিধায় পড়ে গেলাম।হার্ট বলে,”হ্যাঁ” আর ব্রেইন “না”।নিদারুণ মনস্তাত্বিক যুদ্বের পরে নিরঙ্কুশ ভাবে “হ্যাঁ” জয়যুক্ত হয়েছে,”হ্যাঁ” জয়যুক্ত হয়েছে,”হ্যাঁ” জয়যুক্ত হয়েছে।ব্রেইনকে খাটিয়ে অকাট্য খোঁড়া যুক্তি ও খাড়া করে ফেললাম,’ওরা তো আগে ওখানে গিয়েছে’।মানুষ চাইলে কি না পারে!যাওয়ার আগের রাত থেকে তুমুল বৃষ্টি,হালকা অনিশ্চয়তা।ওয়েদার ফোরকাস্টিং বলছে আগামী দু’দিন ও সিলেটে বৃষ্টি হবে।শেষ পর্যন্ত সকল অনিশ্চয়তাকে নিশ্চল করে “দুই পাতা এক কুঁড়ির” শহরে আমরা দুই ফ্যামিলির সাত সদস্য দুই গাড়ী নিয়ে রওনা দিলাম।আমি চলে গেলাম ফ্ল্যাশব্যাকে,ঠিক তের বছর আগে আমরা দুই পরিবারই আমাদের এক বছর বয়সী কন্যা কে নিয়ে সিলেট গিয়েছিলাম এক গাড়িতেই।ঐ দম্পতি তখন সদ্য বিবাহিত।প্রিয় পাঠক,আমার তের বছর আগের স্মৃতি বারবার রোমন্থনে আপনারা ত্যাক্ত হয়ে বিস্মৃতিতে চলে যাবেন না,প্লিজ।
হোটেল উজান-ভাটিতে উদরপূর্তি আই মিন বিলম্বিত ব্রেকফাস্ট করলাম।সিলেট শহরের হোটেল “গোল্ডেন ইন”এ “ইন” করতে বিকেলই হয়ে গেল। লেইট লাঞ্চ হোটেলেই সারলাম।সন্ধ্যাটা শহরে ঘুরাঘুরি করে পাঁচ ভাই রেষ্টুরেন্ট থেকে ডিনার নিয়ে হোটেলে ।তবে পাঁচ ভাইয়ের পাচকের পঞ্চব্যান্জন আমাদের খুব একটা মনে ধরেনি।
দিবস #প্রথম
লালাখালঃ
সিলেট শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে জৈন্তাপুর উপজেলায় এটা অবস্থিত।গুগুল মামুর ওপর ভরসা করে যাত্রা শুরু করলাম।ঝিরি ঝিরি বৃষ্টিতে সবাইকে ঝিমুনি পেয়ে গেছে।আমাদের টিম ক্যাপ্টেন আফিব্বু (আফিফের আব্বু, মানে আফিম্মু এরকমই ডাকে) ক্যারিশমাটিক বুদ্ধিকরে ফ্লাক্স আর ওয়ান টাইম কাপ নিয়ে গেছে।পথে দোকান থেকে চা নিয়ে চুক চুক করে চনমনে হয়ে লালাখালে চললাম।রাস্তা মোটামুটি।ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচেই লালাখালের অবস্থান।খাল বললেও এটা মূলত সারি নদী।সারি নদীর ঘাট থেকে সারি বেঁধে ১২০০টাকার দরে ঘন্টা দুয়েকের জন্য ইন্জিন চালিত নৌকায় উঠলাম।লাইফ জ্যাকেট দেখে চমৎকৃত হলাম।বৃষ্টির জন্য লালাখালের পানি কিছুটা ঘোলাটে হয়ে গেলে ও খারাপ লাগছিল না।খালের দুপাশ বৃষ্টির জন্য মনে হচ্ছে আরো বেশী সবুজ,সতেজ।টুরিষ্ট আছে মোটামুটি।কিছু কিছু বাঁকে অবশ্য নীল পানি ও পেয়েছি।মাঝিরা জাল ফেলে মাছ ধরছে।পাড়ে এসে আমার পতি সাহেব জাল ফেললেন।ই——য়া বড় (অতিব ক্ষুদ্র) চান্দা মাছ দৃশ্যমান হলো জালে।পারফরমেন্স খারাপ না,কি বলেন?সবকিছুই ঠিকমতো চলছে। লালাখালের চা বাগান দেখতে এসেই যেন লানত পড়লো।অতি সাবধানে থেকে ও নৌকায় এসে দেখি আমার ও পতি দেবের পায়ে দুই জোড়া করে চীনে জোঁক নাচানাচি করছে,সাথে আমার ও অন্যদের নাচানাচি ও চিৎকার।এই দৃশ্য অবশ্য কেউ ভিডিও করার সাহস দেখায় নি।আমাদের ক্যাপ্টেন সাহেব খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন,”যাদের জুতা বেশি দামী তাদের শুধু জোঁকে ধরেছে”।পরে জানা গেল লিডার সাহেবের পিঠে একটা জোঁক দু’ঘন্টা অবস্থান করে,ভালোবেসে সুধা পান করে পতিত হয়েছে।বুঝলামনা কারো পৃষ্ঠদেশ এতটা দামী হতে পারে!! লালাখাল থেকে বলতে গেলে চোখ মুখ লাল করেই বের হলাম।বাচ্চাদের অবস্থা শোচনীয়।
জাফলংঃ
এবারের গন্তব্য জাফলং।জাফলং যাওয়ার রাস্তাটা অনিন্দ সুন্দর।দূর পাহাড়ের গায়ে ঝর্ণা গুনতে গুনতে যাচ্ছি।পথে শ্রীপুর চা বাগানের সুশ্রী চেহারা দেখে মুখশ্রীতে মুগ্ধতা আসলে ও হ্রদয়ে হাহাকার এসেছে।আহা!ঐ পাহাড় গুলো যদি আমাদের হতো!! জাফলং পৌঁছাতে লাঞ্চ টাইম হয়ে গেল।ঠিক তের বছর আগে আমরা এখানে এসেছিলাম।আচ্ছা,তখনো কি ডাউকিতে কি এত ঘর বাড়ী ছিল?পাথর হ্রদয়ের মানুষের মাত্রাতিরিক্ত পাথর উত্তলনে জাফলং যে তার জৌলুশ হারিয়েছে সেটা পরিষ্কার। যদি ও টুরিষ্ট এর অভাব নেই।বাচ্চারা জোঁকের ভয়ে এখানে নৌকায় ঘুরতে রাজী হলোনা।মেঘ,পাহাড় আর পানির অদ্ভুত মাদকতায় বুঁদ হয়ে বিকালটা এখানেই কাটিয়ে দিলাম।ফেরার পথে তামাবিল বর্ডার।কন্যার বড়ই শখ, সেই তের বছর আগের মত তামাবিল ০ বাংলাদেশ ০ লিখা মাইলফলকের উপর বসে ছবি তুলবে।হায়!ফলক দেখেতো কন্যার পলক পড়েনা।কি আর করা! নতুন ফলকে ছবি-টবি তুলে আবার রওনা দিলাম।জৈন্তা হিল রিসোর্টে নেমে দূর পাহাড়ের ঝর্নাকে আরেকটু ভালোভাবে দেখার চেষ্টা!আজকে ডিনার হলো কে.এফ.সি তে।
দিবস#দ্বিতীয়
রাতার গুলঃ
ব্রেকফাষ্টকি বাদ রাতারগুলের উদ্দেশ্য রাস্তায়।দু’পাশের চা বাগান,স্টোন ক্রাশারমেশিন,ধানক্ষেত ও চিরায়ত গ্রামীণ রুপ দেখতে দেখতে আমরা চলে এলাম ২নং ঘাটে।আহা!সিলেটকে মনে হচ্ছে অক্সিজেনের ইন্ডাষ্ট্রি।দারুণ দর কষাকষি করে ১৪০০ টাকা করে দুইটা ডিঙ্গি নৌকা ঠিক করা হলো।ভ্রাতাগণ,এবার রাতার গুল সম্বন্ধে একটু চুল চেরা বর্ণনা করি।পুরো পৃথিবীতে স্বাদুপানির জলাবন আছে ২২টি।ভারতীয় উপমহাদেশে আছে দুটি,একটি শ্রীলংকায় অন্যটি বাংলার আমাজান খ্যাত আমাদের এই রাতারগুল।এর আয়তন ৩৩২৫.৬১ একর হলে ও ৫০৪ একর কে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৩ সালে।বন্যপ্রাণী,সাপ জোঁক নিয়ে একটু আতঙ্কে ছিলাম।সেরকম কিছুই নজরে এলোনা।তবে আমাদের মত কিছু দুপেয়ে প্রাণী যারা উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে নিরবতা কে নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে।আচ্ছা,এসব দেখার জন্য কি কেউ নেই??অদ্ভুত সুন্দর বনের ফাঁকে ফাঁকে আমাদের নৌকা চলছে। ওয়াচ টাওয়ার সামনে মাঝি ভাই বললেন, পানি বেশীর কারণে দোতলার বেশী উঠা যাবে না। আমরা টাওয়ার এর টপে না উঠে দোতলা পর্যন্তই উঠলাম।বর্ষাকালে এখানে পানি ২০-৩০ ফুটের মত হলেও সারা বছর দশ ফুটের মতো থাকে।কোথাও ঘন বন আবার কোথাও হালকা।কোন গাছ হাঁটু সমান ডুবে আছে, আবার কোনটা বুক সমান।আমরা যেমন ওদের দেখছি ঠিক তেমনি মনে হয় ওরা ও আমাদের দেখছে।যদি সৃষ্টিকর্তা ওদের বলার ক্ষমতা দিতেন তবে অবশ্যই বলতো,”প্লিজ আমাদের নষ্ট করোনা,আমরা তো তোমাদের রক্ষার জন্যই”।ফেরার পথে ভাসমান নৌকা থেকে ডাব ও কলা কিনে খেলাম ভেসে ভেসে।মাঝি ভাই বনের গাছপালার সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিলেন।করচ,জারুল,বেত,কদম,বরুণ ও মুর্তা মানে পাটিপাতা।এই পাটিপাতা গাছকে স্হানীয় ভাষায় রাতা গাছ বলে,আর সেখান থেকেই এর নাম রাতার গুল।আমি ভাবছি, আহা! এই বন যদি আমাদের এলাকায় হতো তবে নির্ঘাত এর নাম হতো হাটি-হাতার জংগল।নাম যাই হোক না কেন,একটা কথা বলা যেতেই পারে রাতারগুল না দেখা হবে বিরাট ভুল।
পান্তুমাইঃ

প্রাণ কাড়া পান্তুমাই
এবার আমরা চলে এলাম হাদারপাড় বাজারের ঘাট এলাকায়। এখান থেকে ট্রলার ঠিক হলো।প্রথমে গন্তব্য পান্তুমাই ঝর্ণার পানে। পিয়াইন নদীর স্বছ টলটলে পানি এবং নদীর দু’পাড়ের কর্মব্যাস্ত মানুষের বিচরণ দেখতে দেখতে যাচ্ছি। ।কেউ পাথর তুলছে,কেউ বা মাছ ধরছে আবার বধূরা গোসল শেষে কলস ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছে। আর শিশুদের উদ্দাম শৈশবের খন্ডচিত্রতো আপনাকে উতলা করবেই। প্রায় আড়াই ঘন্টা জার্নি শেষে পান্তুমাই পৌঁছলাম।বাংলাদেশ-ভারত বর্ডারে এই পান্তুুমাই গ্রাম অবস্থিত।।বলা হয়ে থাকে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম গুলোর মধ্যে একটা।পান্তুুমাই ঝর্ণার উৎপত্তি ভারতে হলেও শেষ হয়েছে বাংলাদেশে।কাছাকাছি যেতে ইন্জিন নৌকার শব্দ ছাপিয়ে ঝর্ণার শো শো শব্দ কানে আসছে। ঝর্ণাকে আরেকটু কাছ থেকে দেখতে হলে ডিঙি নৌকায় উঠতে হবে।আমরা মাতা-কন্যা এই সুযোগ হাতছাড়া করিনি। সেই এক অপূর্ব,অপার্থীব দৃশ্য।প্রাণ ভরেছে পান্তুুমাই দেখে।
বিছানাকান্দিঃ
“ইশ!এখানে যদি আমার একটা বাড়ী থাকতো।তাহলে এই পাথর-পানির বিছানায় পা ডুবিয়ে বসে থাকতাম সারাবেলা।”প্রথম দেখায় বিছানা কান্দি দেখে এরকমই মনে হয়েছে।পান্তুমাই থেকে প্রায় চল্লিশ মিনিটের জার্নি বিছানাকান্দি। আমরা পৌঁছাই দুপুর আড়াইটায়।পেটের গুডুম গুডুম শব্দে বাড়ী বানানোর চিন্তাটা তাড়াতাড়ি বাদ দিয়ে খাবারের সন্ধানে চলে এলাম। “হাঙ্গার ইজ দ্যা বেষ্ট সস” যে কতোটা সত্যি সেদিন আবার বুঝলাম।তিন-চারটা খাবারের দোকান,কিন্ত মেনু সবার কমন।মুরগী,ডাল,ভর্তা দুই রকমের অতি সাধারন খাবার কতটা অসাধারণ লেগেছে।জানিয়ে রাখি,তিরিশ টাকার বিনিময়ে প্রাকৃতিক কর্ম সম্পাদনের লাক্সারী অফার ও কিন্তু আছে।
ভোজন পর্ব শেষে আবার চলে এলাম বিছানা কান্দির বিছানায়।আহ!কি স্বচ্ছ টলটলে পানি!
মেঘালয় পাহাড় থেকে অনররত পানির প্রবাহ পাথরের উপর পড়ছে।পাহাড়,পাথর,পানি আর মেঘ মিলে এক মোহাচ্ছন্ন পরিবেশ, তাতে আছন্ন না হবার মত ছন্নছাড়া কেউ কি আছে?পানিতে বেশ স্রোত ও আছে।আনন্দের আতিশয্যে সীমানা অতিক্রম করা যাবেনা।আমাদের বাচ্চারা দারুণ উপভোগ করল।আমরা একদম সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিলাম। সুর্যাস্তটা পিয়াইন নদীতে দেখলাম।ফেরার সময় আবার নদীর অন্যরুপ।সবার ঘরে ফেরার তাড়া,রাখাল গরু,মহিষ নিয়ে ঘরে ফিরে যাচ্ছে,গ্রামের বধুরা রাতের জন্য কলস ভর্তি করে পানি নিয়ে যাচ্ছে।ট্রলার ম্যান কে ২০০০টাকা দেয়ার কথা থাকলে ও ক্যাপ্টেন সাহেব বেশুমার বিছানাকান্দির রুপে অভিভূত হয়ে হয়ে আরও ২০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন।
আজকের ডিনার পানশীতে।ধূর!খানা আজকে ও বালা পাইনি,যদিও কেউ কোন মাত মাতে নি।
দিবস # তৃতীয়
ভোলাগন্জঃ

মন ভোলানো ভোলাগন্জ
হোটেল “গোল্ডেন ইন” থেকে চেক আউট হয়ে গেলাম।সক্কাল সক্কাল নিয়ে সাদা মনে সাদা পাথরের উদ্দেশ্য রওনা দিলাম।সিলেট থেকে ৩৩ কি.মি.দূরত্ব।রাস্তা ভালো মন্দ মিলিয়ে।শেষের কয়েক কি.মি.মনে হয়েছে সদ্য মোড়ক উম্মোচন হয়েছে।এটি মূলত বাংলাদেশ -ভারত সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগন্জে সীমান্তের শূন্য রেখার উপর এর অবস্থান।১৯৯০ সালে এখানে প্রথম পাথর জমা হয়।কিন্তু তখন লুটেরার দল সব লুটপাট করে নিয়ে যায়।দীর্ঘ বিরতির পর ২০১৭ সালে পাহাড়ি ঢলে আবার পাথর জমা হয়।প্রশাসন এবার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে পাথর সংরক্ষণ করেছে।বলা যায় এটা নবীনতম টুরিষ্ট স্পট। সাদা পাথরকে পর্যটক বান্ধব করার জন্য গত ডিসেম্বর থেকে সেখানে বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে।কথা সত্য, সাদাপাথর পরিবহনের একটি বাস সেখানে দেখেছি।অনুমান করা হয় প্রতিদিন সেখানে ১০ হাজার পর্যটক যায়।বিছানাকান্দির সাথে মিল থাকলেও এখানে যাওয়া তুলনামূলক সহজ।ঘাটে কোন দামাদামি নেই।২৫/৩০ মিনিটের রাস্তা ৮০০টাকা ফিক্সট।নাম সাদা পাথর হলে আরো বিভিন্ন রঙের এবং সাইজের পাথর দেখতে পাবেন।বিছানা কান্দির চেয়ে এটা আরো বিস্তৃত।ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সবুজ পাহাড়, নানা রংয়ের পাথর,শীতল নীল পানি সবকিছু মিলিয়ে আপনার এখানে বিনীল হয়ে যেতে ইচ্ছে করবে।এক্সট্রা সার্ভিস হিসেবে ঢিলে ঢালা লকার,ওয়াশ রুম,চেন্জরুম এবং টিউব পাবেন টাকার বিনিময়ে।আমরা বেশীক্ষণ থাকব না প্ল্যান থাকলে ভোলা গন্জ আমাদের সময়ের হিসেব ভুলিয়ে দিল, ঘন্টা দুয়েক ছিলাম। আজকের ওয়েদার ভয়ানক রৈাদ্রউজ্জ্বল ও চরম গরম।শেষ দিনে বুঝলাম গত দুদিনের বৃষ্টি মোটেও অনাসৃষ্টি ছিলনা।
লাঞ্চ করতে চলে এলাম পর্যটন কর্পোরেশানের হোটেল।আহা! পুরো সিলেট ট্যুরে আজকের খাবারই বেষ্ট।ইশ!কেন যে আগে পর্যটনের কথা মনে পড়লনা।সেই আফসোস করতে করতে এবং পরের বার এধরনের ভুল করা যাবেনা এই শর্তে যাত্রা শুরু হলো ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে।
বিঃদ্রঃ
হোটেলের কমপ্লিমেন্টারিটি ব্রেকফাষ্ট করাতে আমাদের মাতা-কন্যার রেকর্ড গত তিন দিনে কেউ ব্রেক করতে পারেনি। প্রতিদিন সবার আগে পৌঁছেছি।একদিন তো নাস্তার আগেই আমরা পৌছে গেছি। হা হা।
তারিখঃ জানুয়ারি ১১, ২০২১