বৃষ্টি এলে
মৌসুমী দাশগুপ্ত
ডর্মিটরির জানালায় হাঁটুতে চিবুক রেখে বসে আছে শ্বেতা, বেশ দেখতে পাচ্ছি। মসৃণ বাদামের মতো হাতজোড়া জড়িয়ে রেখেছে ঘননীল ডেনিম পরা হাঁটু দুটোকে। বাম হাতে আমারই দেওয়া অক্সিডাইজের একটা বালা। তার এক ঢাল কালো চুলে মুখের বেশিরভাগটাই আড়াল করা, মুখটা ফেরানো জানালার দিকে। শার্সিতোলা জানালাটায় কোন শিক নেই। এদেশে জানালায় কেন যেন শিক থাকে না! আমার সবসময় কেমন ভয় করে!
বাইরে সব ঝাপসা, জানালার কাচে অনবরত জল গড়াচ্ছে। সেই জলপ্রপাত ভেদ করে যদি দৃষ্টি যেত তাহলে দেখা যেত চারপাশের সবুজ পাহাড়গুলো বৃষ্টিতে ভিজে কেমন আরও গাঢ় কালচে সবুজে রূপ নিচ্ছে। তুমুল বাতাসে গাছগুলো সব ট্যাঙ্গো নেচে যাচ্ছে অবিরাম, যেন শনিবারের পানশালা। কিন্তু না, সে অন্য পাহাড়… এ পাহাড়টা ভিন্ন রকম।
ডর্মিটরিটা বেশ পুরোনো একটা পাথরের তৈরি বাড়ি। পাথুরে জানালার খোপে খোপে আগাছা গজিয়েছে। পাহাড়ের মাথায় তেতলা বাড়িটার পেছনদিকে এই জানালাটা। ওর পরে পাহাড় ছাড়া আর কিছু নেই। উল্টোদিকের জানালায় দাঁড়ালে অবশ্য চোখে পড়বে নীচের বাঁধানো চাতাল, বাগান আর সামনের পাহাড়ের গায়ে ইউনিভার্সিটি বিল্ডিং।
আমি খেয়াল করে দেখেছি মানুষের মতো পাহাড়গুলোও এক একটা এক এক রকম। ওই সামনের জানালায় যে পাহাড়টা চোখে পড়ে সে যেন বড় ঘরোয়া আর পোষ মানানো। অথচ পেছনের জানালায় বুনো আর রহস্যঘেরা একটা পাহাড়, মনে হয় কোনো এক অজানা অতীতের গল্প যেন সে বলতে চায়। এখান থেকে বহু হাজার মাইল দূরের যে ছোট্ট পাহাড়ি জনপদে আমার জন্ম আর বেড়ে ওঠা, সেখানকার পাহাড়গুলো ছিল খেলনা পাহাড়ের মত, এক ছুটে টুক করে উঠে পড়তাম মন চাইলেই। কিন্তু তা বলে সেগুলোকে টিলা বলা যাবে না। আসলে ঐ পাহাড়ের গায়ে বেড়ে উঠেছি বলেই হয়তো ওগুলোকে খেলার সাথী মনে হতো। এখানকার পাহাড়গুলো ওরকম নরম লাল মাটির পাহাড় নয়। এগুলো শক্ত গ্রানাইটের পাহাড়, এর আনাচে কানাচে ভুতুড়ে সব গুহা আর এর উপকূল জুড়ে আছড়ে পড়া ভাঙা জাহাজের দীর্ঘশ্বাস।
বৃষ্টির শব্দের সাথে পাল্লা দিয়ে লেডি গাগা হৈচৈ করে যাচ্ছে –
“It’s coming down on me
water like misery
It’s coming down on me
I’m ready, rain on me…”
আমার মন চাইছে রেকর্ডটা বদলে দিই। মন চাইছে শান্ত একটা গান বাজুক। হয়তো শ্রীকান্ত –
“নিজেকে সে আজ এমনি ভেজাবে, বৃষ্টি এলে…
পুরোনো চিঠির নৌকা বানাবে…”
আচ্ছা, আমার পুরোনো চিঠিগুলো কি শ্বেতার কাছে আছে এখনও? সেই কবে থেকে আমি শ্বেতাকে চিঠি লিখে আসছি! ওর বয়স তখন সতেরো কী আঠারো আর আমার একুশে পা। সেই তখন থেকে ঐ কালো চুলের ওপারের পানপাতা মুখটাকে আমার নিজের বলে জেনে এসেছি। ও মুখে চেয়েই আমার অপরিণত কবিতা আর অপরিপক্ক চুমু খাবার প্রচেষ্টা।
আমাদের মাঝে কে আগে চিঠি লিখেছিল সেটা আর আজ মনে পড়ছে না। শ্বেতাই হবে হয়তো। ওর দুরন্ত রাগ নিয়ে আমি ভীষণ ভয়ে ভয়ে থাকতাম, আগ বাড়িয়ে প্রথম চিঠি দেবার সাহস আমার ছিল বলে মনে হয় না। শ্বেতা যে ভীষণ রকম আলাদা ছিল। আমার সেই সামনে ফোঁপানো চুল আর কায়দা করে তার সামনে হেঁটে যাওয়া শ্বেতার যেন চোখেই পড়ত না। এমনই হয়। যে সব মেয়েরা আমার চোখে পড়ার জন্যে সকাল-সন্ধে দৃষ্টিবাণ হেনে যেত, তাদের জন্যে আমার কিশোর হৃদয়ে একফোঁটা তোলপাড় তৈরি হতো না। কিন্তু ওই একটা নাক উঁচু মেজাজি মেয়ের চোখে ঝলসে ওঠা রাগ দেখার জন্যে আমি কত কিছুই না করেছি, ভাবলে এখন হাসি পায়। সেই বোকা কৈশোর পেরিয়ে আরও কটা বছর গেলে তবেই মিলেছে চিঠি লেখার অধিকার।
আধো আঁধার ডর্মিটরিতে আবারও আমি সেই রাগী চোখ জোড়া দেখার জন্যেই অপেক্ষায় ছিলাম। বহু বছরের অভ্যাসে আমি শিখে নিয়েছি সে রাগের মোকাবিলা করার কৌশল। কিন্তু পুরোনো সেই শ্বেতাকে আমি সেদিন খুঁজে পাচ্ছিলাম না। সাগরের পাড়ভাঙা ঢেউয়ের মত রাগে আমাকে ভাসিয়ে নেবার বদলে সেদিন সে ওই গ্রানাইট পাথরের পাহাড়ের মতই মৌনী আর কঠিন হয়ে জানালায় বসেছিল। বারবার ভেবেছি ওকে ওভাবে রেখে আমি বেরিয়ে আসি, হয়তো আসলেই ভাল হতো। কিন্তু ওই পুরোনো বাড়ির আঁধার ঘনিয়ে আসা ঘরটায় একটা চৌম্বকক্ষেত্র যেন তৈরি হয়েছিল সেদিন। আমি কিছুতেই তার শক্তিবলয় ভেঙ্গে বেরিয়ে আসতে পারছিলাম না। আর পারছিলাম না বলেই আমারও রাগ চড়ে যাচ্ছিল। শ্বেতাকে মনে হচ্ছিল এক মায়াবী সর্পিণী, আমার জীবনটা যে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে।
আমার ঠিক মনে হয়, ওই সময়টা, ওই ঘরটা, ওই পাথুরে পাহাড় আর ওই খোপকাটা ভেজা জানালাটা আমাদেরকে একটা ঘোরের জগতে নিয়ে গিয়েছিল। তৈরি হয়েছিল এক ‘kairos moment’, যে মুহূর্ত আমাদের নিয়তি নির্ধারণ করে। শ্বেতা যদি অন্য একটা জানালায় বসত, যেমন ঐ সামনের পোষমানা জানালাটায়, অথবা সে অন্য একটা দিন হতো, ধরো একটা রোদেলা বিকেল, তাহলে ঐ মুহূর্তটা তৈরিই হতো না। ঐ একটা মুহূর্ত, যে মুহূর্তে শ্বেতা জানালার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে আমার দিকে তাকিয়েছিল। অন্যরকম চোখে, তার সেই রাগী রাগী, আপন আপন চোখ নয়, কেমন অপরিচিত একজোড়া চোখ। সে চোখের ভাষা আমি পড়তে পারিনি।
কিছুদিন ধরেই আমরা আর একে অন্যের ভাষা পড়তে পারছিলাম না। আমাদের মাঝে ভিন্ন ভিন্ন ভাষাগোষ্ঠীর মানুষেরা ঢুকে পড়ছিল হরদম। কেল্টিক ডানকান স্কটিশ হাইল্যান্ডের পদ্য আউড়ে যাচ্ছিল শ্বেতার কানে কানে আর ম্যান্ডারিন ইউ (যার মানে চাঁদ) নামের এক চন্দ্রবদনী রূপসী আমার বলয়ে স্থান করে নিচ্ছিল। আমরা আমাদের নিজস্ব মহল্লার পুরোনো দিঘির পাড় ছেড়ে ইউনিভার্সিটি নামক একটি আন্তর্জাতিক মহাসাগরের মাঝে হাবুডুবু খাচ্ছি তখন। শ্বেতার এখানে আসা যতটা সহজ আর স্বাভাবিক ছিল, আমার বেলায় সেটা ছিল না। আমার বাবা কোন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একাডেমিক নন, কিন্তু তাঁর মানিব্যাগটির ওজন তুলনামূলকভাবে ভারি আর শ্বেতার মত ধারালো না হলেও আমার মস্তিষ্কটিও একেবারে ভোঁতা ছিল না। সবচেয়ে বড় কথা রক্ষণশীল এশীয় বাবামায়েরা তাঁদের সবচেয়ে তীক্ষ্ণধী কন্যার জন্যেও একটি প্রহরী নিযুক্ত করতে পারলে মনে শান্তি পান। তাই, দুই ভুবনের দুই বাসিন্দা আমাদের পিতৃদেবগণ আমাদের দুজনকে একসাথে পাঠানোর ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন। আর আমরাও শাসনগণ্ডীর বাইরে পা বাড়ানোর সুযোগ পেয়ে দুটি শিশুর মতই মেতে উঠেছিলাম।
সেপ্টেম্বরে সেমিস্টার ধরতে হবে বলে ভরা বর্ষার মরসুমে তাড়াহুড়োয় আমাদের বিয়ে হয় আর ঘনঘোর এক শ্রাবণ রাত্রিতে ছিল আমাদের বাসর। সারা রাত তুমুল বৃষ্টি আর বিদ্যুৎঝলকে আমাদের যুগল জীবনের সূচনা। আমার বুকের কাছে গুটিশুটি মেরে সে ঘুমিয়ে গেলে তার পিঠের উপর হাত রেখে আমি জানালায় দেখেছি অঝোর প্লাবন। শ্বেতাকে পরিপূর্ণ করে পাবার আনন্দে তখন আমার সর্বসত্ত্বায় মাদল বাজছে, ঘরজুড়ে বেলী আর রজনীগন্ধার মাতাল ঘ্রাণ। ফুলশয্যায় শ্বেতা এসেছিল ফুলের অলংকারে সেজে, আর আমি সেগুলো একটা একটা করে খুলে সারা ঘরে ছড়িয়েছি। আমি চাইনি আমার আর শ্বেতার মাঝে একটা ফুলের পাপড়িও থাকুক।
ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির সময় আমরা কাগজে কলমে সম্পর্কিত ছিলাম না। তাই সেখানে আমাদের থাকার জায়গা আলাদা আলাদা। সে নিয়ে আমরা খুব হাসাহাসি করতাম। সবাই জানত আমরা প্রেমিক-প্রেমিকা, বিয়ের ব্যাপারটা গোপন রাখা যেন আমাদের নিজস্ব একটা খেলা ছিল। শুরুতে আমাদের একের হাত অন্যের মুঠোয় থাকত অবিরাম। তারপর ধীরে ধীরে মুঠো আলগা হতে শুরু করল। আরও পরে অন্য অন্য হাতের ভীড়ে আমাদের হাত আর একে অন্যকে খুঁজেই পাচ্ছিল না। সে কথার মোকাবিলা করতেই ওই ছুটির দিনে শ্বেতার ডর্মিটরিতে আমার চুপচাপ ঢুকে পড়া। ছুটির সময় বলে ডর্মিটরি বলতে গেলে খালিই। অল্প কজন ছুটিতে বাড়ি না যাওয়া ছাত্র-ছাত্রী এদিক সেদিক কুপিবাতির মত টিমটিম জ্বলছে তাদের ল্যাপটপের আলোয়। শ্বেতার রুমমেট নেই জানতাম। ভেবেছিলাম এ অবসরে খোলাখুলি মীমাংসা করে নেব। কোন হাইল্যান্ড হাংক এর কাছে হারার বাসনা একদম ছিল না আমার।
সবকিছু কেমন যেন ঝাপসা ছিল সেদিন। আগের রাতে অনেকটা সময় পানশালায় কেটেছে। অনেকগুলো না মেলা হিসেবের অংক অথবা অংকের হিসেব আমি ক্যালেডোনিয়া আর টেনেট -এ মেলাতে চেয়েছি। কিছুটা এলোমেলো পায়ে ডর্মিটরিতে ঢুকতে ঢুকতে আমার মনে হয়েছিল এখানে না এসে আগে একটা কফিশপে গেলেই ভালো হতো। শ্বেতাকে নিয়েই যাব না হয়, এই ভেবেই উপরে উঠে যাওয়া। ওর ঘরের ভেজানো দরজাটা খুলেই দেখলাম ও সেই জানালার তাকে বসা, যাকে ওরা বলে উইন্ডোসিল। ঘর জুড়ে কেমন একটা বুনো গন্ধ। এ গন্ধটা শ্বেতার নয়, আমি শ্বেতার গন্ধটা চিনি। কেমন একটা ঘাস-ফুল-মাটি মেশানো একটা গন্ধ। আমার হঠাৎ করেই মনে হয় এ ঘরে ডানকান এসেছিল, হয়তো কাল রাতেই। সেজন্যেই কাল ওকে বারে দেখিনি, নাহলে শনিবারের রাতে ডানকানের তো বার মিস হবার কথা নয়। আমি জানি ছুটিতে সে বাড়ি যায়নি। কফির কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে আমি জিজ্ঞেস করে বসি, “ডানকান এসেছিল, তাই না?” দরজা খোলার মৃদু শব্দ শ্বেতার কানে গিয়েছিল কিনা জানি না, কিন্তু আমার প্রশ্ন লেডি গাগাকে ছাপিয়ে ঠিক ওর কানে পৌঁছে যায়। আর তখনই জানালার দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে সে আমার দিকে তাকিয়েছিল।
এরপর কী হয়েছিল আমি ঠিক জানিনা। মনে পড়ে আমিও লেডি গাগার মত অনেক গাঁ গাঁ করেছিলাম। শ্বেতা কী বলেছিল একদম মনে নেই, শুধু তার চোখের তীব্র ঘৃণাটুকু ভাঙ্গা কাঁচের টুকরোর মত স্মৃতিতে গেঁথে আছে। জানালাটা কে খুলল, কেন খুলল তাও আমার মনে নেই। শুধু মনে আছে অনেক অনেক নিচে সাদা জমিনে একঢাল ছড়ানো কালো চুল…. আর দীর্ঘ একটা লাল রেখা, ক্রমেই সেটা দীর্ঘতর হচ্ছিল। আচ্ছা, জমিনটা সাদা ছিল কেন? সবুজ হবার কথা না? কেমন যেন সব গুলিয়ে যায়! ঝুম বৃষ্টি এলেই আমার সব এলোমেলো হয়ে যায়… মনে হয় এটা সেই রাত, আমি এখনও শ্বেতাকে আঁকড়ে ধরে আছি, আমাদের বাড়ির জানালায় আছড়ে পড়া বৃষ্টি… আবার দেখি ডর্মিটরির সেই ভেজা জানালাটা, দেখি শ্বেতা পড়ে যাচ্ছে… পড়ে যাচ্ছে… আমি কিছুতেই ধরে রাখতে পারছি না… কিছুতেই না! আর তখনই আমি চিৎকার শুরু করি… কিছুতেই থামতে পারি না… মনে হয় এই ঘরটা আমাকে আটকে রেখেছে, এখান থেকে খোলা বাতাসে বের হতে পারলেই আমি আবার শ্বেতাকে খুঁজে পাব… এখান থেকে বের হতে পারলেই সেই Kairos moment মিথ্যে হয়ে যাবে… এটা একটা দুঃস্বপ্ন, সত্যি নয়, এটা কিছুতেই সত্যি নয়… আআআহ! আআআহ!
নার্স এক: “ইশ! তের নম্বরের রুগি আজ জ্বালাবে আবার। বৃষ্টি হলেই সে যন্ত্রণা শুরু করে।”
নার্স দুই: “লোকটা অদ্ভুত! তার ফিঁয়াসে যেদিন মারা যায় সেদিন অনেক বরফ পড়েছিল। এখনও মনে আছে, ক্রিসমাসের ছুটি ছিল তখন। খবরটা আমি টিভিতে দেখেছিলাম। বৃষ্টির দিন ছিল না মোটেই। ও যে তাও বৃষ্টির দিনেই কেন এমন করে বুঝি না!”
নার্স এক: “আচ্ছা, মেয়েটা কি নিজেই তিনতলা থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, নাকি ও ধাক্কা দিয়ে ফেলেছিল? নাকি আসলে অ্যাকসিডেন্ট ছিল?”
নার্স দুই: “কে জানে কী হয়েছিল! সাক্ষী তো আর ছিল না কেউ। যাই হয়ে থাকুক, ফল তো এক… জেলখানা আর পাগলাগারদে তফাতই বা এমন কী!”
নার্স এক: “আহা! কোথাকার ছেলেমেয়ে, নিয়তি কোথায় এনে ফেলল! শুনেছি ওদের দেশে অনেক বৃষ্টিবাদল আর বন্যা হয়। সেজন্যেই মনে হয় ও বৃষ্টির দিনে এমন অস্থির হয়ে ওঠে…”
নার্স দুই: “বাদ দাও। ইঞ্জেকশনটা তৈরি করো বরং, আজ রাতে ওর ঐ ইঞ্জেকশন ছাড়া হবে না। এমন বৃষ্টি বাইরে! ইঞ্জেকশনটা দিয়ে চলো দু’কাপ চা বানাই।”
তারিখঃ জুলাই ১৯, ২০২৩
দারুণ। তোমার লেখা নিয়ে কিছু বলা বতুলতা। তবে মনে একটা প্রশ্নঃ গল্পটি শ্বেতার জবানীতে নয় কেন? তাতে করে আমার ধারনা অনুভূতিগুলো আরও নিটোল হয়ে গভীরে গিয়ে আরও পূর্ণতা পেতো।
খুবই সুন্দর লেখা