সোনার আংটি

 

ক কিলোমিটার তো হবেই,তার বেশিও হতে পারে। পরিস্কার দেখা যাচ্ছে  স্তম্ভটা। সোজা উঠে যাচ্ছে আকাশের দিকে। জল ঘুর্ণিপাকে উঠছে-নামছে, উঠছে- নামছে। সাগরের বুকে এরকম দৃশ্য মাঝেমধ্যে দেখা যায়, বিশেষকরে বর্ষায়। কিন্তু এখন সবে শীত গেছে। আবহাওয়া এখনও তেমন শীতঘুম ছেড়ে হাই তোলেনি। তবে কি একেই বলে ভাগ্য !  সুন্দরবন ভ্রমনে গেলে সবাই মনে মনে চায় একটু রয়েল বেঙ্গল মামার সাথে দেখা হোক। কারও কপালে সাক্ষাৎ জোটে,বেশিরভাগেরই সেই সৌভাগ্য হয় না। সমুদ্রের নানা রূপের গল্প ইতিপূর্বে শুনেছে ইকবাল ভাইয়ের মুখে। কিন্তু বাস্তবে এই প্রথম গভীর সমুদ্রকে এত কাছথেকে দেখা ঈশান ও দাউদের। 

 

ইকবাল ভাই  সাগর পাড়ের মানুষ। বঙ্গোপসাগরের রূপবান দ্বীপ হাতিয়ায় জন্ম তার। কলেজজীবন পেরুতেই  চাকরি হয়ে যায় সরকারি জাহাজে। ওখানকার মানুষের মনটা সত্যিই সমুদ্রের মত বিশাল,উদার। অনেকের ভিন্ন মত থাকতে পারে,কিন্তু ঈশান এই অঞ্চলের যত মানুষের সাথে মিশেছে তাদের কাউকে খারাপ ভাবতে পারেনি কখনও। এই ভ্রমণও ইকবাল ভাইয়ের আমন্ত্রণে হঠাৎ শুরু। অবশ্য উদ্দেশ্য একটা আছে,যদিও উদ্দেশ্যটা ততটা জোড়ালো নয়। হলে হবে, না হলেও অসুবিধা নেই। তবে প্রস্তুতি আছে। উভয়ের পছন্দ হয়ে গেলে কন্যার অনামিকায় সোনার আংটি পড়িয়ে দেবে দাউদ, সেরকমই প্ল্যান। ইকবাল ভাই ঠাট্টা করে বলছিলেন, ” দুই সুন্দরীকে একসাথে দেখলে খেই হারিয়ে ফেলবেন না তো ভাই ? সমুদ্র সুন্দরী আর মানবী সুন্দরী কেউ কারও চেয়ে কম নয় কিন্তু  “। কথাটা খুব একটা মিথ্যে নয়। নুসরাত আসলেই সুন্দরী। মুশকিল হচ্ছে সমুদ্রের মত উচ্ছল নয়, কুয়াশার মত লাজুক।  তবে জাহাজের পেছনে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়তে থাকা গাঙচিলের মতো ঝকঝকে তরতাজা। 

 

আপাতত পাত্রী দেখা শেষ, তবে আংটি পড়ানো হয়নি। দাউদ একা সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে  না। পরামর্শ করার জন্য জাহাজের সামনের খোলা ডেকে চলে এসেছে দুই বন্ধু। জাহাজ সন্দ্বীপ ঘাট ছেড়ে হাতিয়ার দিকে চলছে। বেশ চমৎকার আবহাওয়া। সূর্যদেব অনেক চেষ্টা করছেন তাতিয়ে দিতে,কিন্তু পবন দেবও ছাড়বেন কেন, তিনিও বইছেন পূর্ন শক্তিতে শীতল ছোঁয়ায়। ইকবাল ভাই হাতে একটা দূরবীন ধরিয়ে দিয়ে ঈশানকে বললেন,” নিন দাদা,এতক্ষণ বন্ধুর জন্য আণুবীক্ষণিকভাবে পাত্রী দেখলেন,এবার দূরবীন দিয়ে এই সাগর সুন্দরীকে দেখুন। 

 

দূরবীন চোখে তুলতেই দৃশ্যটা দেখা। ইকবাল ভাই জানালেন, আমরা আধঘন্টার মধ্যেই ঐ জলস্তম্ভ ভেদ করে যাব। বলে কী !  এত নির্বিকার ভাবে বললেন, ওটা যেন দুধভাত !  ইকবাল ভাইয়ের কণ্ঠে পংকজ উদাস যেন সুর ভাজছেন, “নিত্য তুমি হে উদার – সুখে দুখে অবিকার “

 

– ওখানে আসলে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। বায়ুর প্রচন্ড গতির কারনে সমুদ্রের পানি প্যাঁচিয়ে প্যাঁচিয়ে  আকাশের দিকে উঠে যাচ্ছে। আরেকটু এগুলে আরও অসাধারণ একটা দৃশ্য দেখবেন। গোল্ডেন রিং, সোনার আংটি। খালি চোখেই দেখতে পারবেন। এক গোল্ডেন রিঙের সাধ না মিটলেও ওটাতে নিশ্চয় মিটবে। তবে সাবধান,যেই দেখবেন জাহাজ বৃষ্টির কাছাকাছি এসে গেছে তখনই চলে যাবেন কেবিনে। নুসরাতদের সামনাসামনি কেবিনটা আপনাদের জন্য রেখেছি। 

বলেই একটা স্বভাবসুলভ মিষ্টি হাসি দিয়ে ইকবাল ভাই চলে গেলেন জাহাজের একদম নিচের রুম ইঞ্জিন ঘরে। অভিজ্ঞ সারেং তিনি, এই সময়ে ইঞ্জিন ঘরে তাঁর মতো শক্ত লোকেরই প্রয়োজন। 

 

ইকবাল ভাইয়ের কথায় দাউদ বোধহয় একটু তেতে উঠলো। ঈশানকে বলল,দাদা চল আংটিটা পড়িয়ে ফেলি। বন্ধু হলেও দাউদ আসলে ঈশানের অনেক ছোট। সম্পর্কটা স্নেহের। কাঁধে হাত রেখে ওকে বুঝ দিয়ে বলল,

 ” ছোটভাই  ধীরে চল,আগে নেটওয়ার্কে পৌঁছাই । তারপর আন্টিকে ফোনে সব জানিয়ে ব্যবস্থা হবে। আরে নুসরাত তো আর পালিয়ে যাচ্ছে না। ও তো ইকবাল ভাইয়ের মামাতো শালী।” 

আশ্বস্ত হয়ে দাউদ দূরবীন চোখে তুলে মনযোগ দিল দূরের জলস্তম্ভটার দিকে। ডেকে কিছু উঠতি পোলাপান গিটার বাজিয়ে জমজমাট গানের আসর বসিয়ে দিয়েছে। সমবয়সীরা ওদের ঘিরে তালে বেতালে নাচতে লেগেছে। অবস্থা দেখে বুঝা যাচ্ছে ওরা এই নৌপথে অভ্যস্ত। হঠাৎ দাউদের চিৎকারে ওদের আনন্দ থেমে গেল। 

 

– দাদা, দেখা যাচ্ছে – দেখা যাচ্ছে  – ঐ তো গোল্ডেন রিং !

 

সত্যিই অবাক করা দৃশ্য !  যা কোনো ভাষায় বর্ণনা  করা যায় না। জাহাজ যেখানে আছে সেখানে ঝলমলে রোদ্দুর, আর ওখানে প্রচন্ড বৃষ্টি। ঘূর্ণিপাকে ফুলে উঠা জলের স্তম্ভের উপর রোদের ছটা পড়েতে দেখা যাচ্ছে সোনার আংটি। দূর থেকে পরিস্কার দেখা যাচ্ছে ঐ রিংটা। মনে হচ্ছে কোনো উজ্জ্বল বর্ণা ষোড়শীর অনামিকায় পড়া ততোধিক উজ্জ্বল সোনার আংটি ! 

 

– ভাইজান আন্নেরা কি এই পত্থম এই  হতদি যান নি ? 

 

 ভদ্রলোক খুব চেষ্টা করছেন প্রমিত বাংলায় বলতে,কিন্তু কিছুতেই পেরে উঠছেন না। মাতৃভাষা সহজে পিছু ছাড়ে না। হাতিয়ার ভাষা নোয়াখালীর প্রভাবযুক্ত। চাটগাঁইয়া বা সিলেটিদেরও একই অবস্থা। 

 

জি ভাইজান। আপনি ?

  

আঁর বাড়ি নিঝুম দ্বীপ। হাঁতিয়ার হর (পরে) তই আমি তাকি (থাকি) চট্রগেরামর (চট্টগ্রাম) হালিশর (হালিশহর) 

 

তই আন্নেরা কি বেরাইবারলাই যাননি ? 

 

জি জি – এই সেরকমই উদ্দেশ্য – তবে – 

 

হ বুঝছি। ইকবাল আঁর আঁত্তিয় (আত্মীয়)। আঁরে কদ্দুর কইছে। ভালা ভালা, হচ্ছন্দ (পছন্দ) হইলে কইয়েন। আপনাগো চাটগাঁইয়াগো লগে আঁত্তিয়তা হইলে আঁরা বহুত খুশি। এ-র-ই কুদ্দুচ্যা কোনাই যাস ?  দুম্বাই আয়,দুম্বাই আই এমুই ।  আংগো নতুন কুটুমের লগে হরিচয় করি যা।

 

আসলেই লোকগুলো সহজসরল। তবে এই সহজসরলের  পাল্লায়  পড়ে কি অবস্থা হয় তা নিয়েই ভাবছে ঈশান ও দাউদ।  

 

দেখতে দেখতে জাহাজ সেই ঘূর্নির কাছাকাছি চলে এলো। জাহাজের চারপাশে হালকা বৃষ্টি। দেখতে না দেখতেই কুত্তা বিলাই, মানে Cat’s & Dog। বড় বড় ফোঁটায় এলোমেলো বৃষ্টি। গাঙচিলগুলো হঠাৎ উধাও। সমুদ্রের পানি জাহাজের একপাশে ধাক্কা খেয়ে  জাত সাপের মতো ফণা তুলে  অন্যপাশে গিয়ে ঠোক্কর মারছে যেন !  ঈশান ও দাউদ তখনও খোলা ডেকে। আশেপাশের সবাই কখন যে জাহাজের ভিতর নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে খেয়াল করেনি। ঈশানকে পেয়েছে এডভেঞ্চারের নেশায়, অনেকটা চট্টগ্রামের সেই বিখ্যাত কাইম বলির (কঞ্চির মতো চিকন কুস্তিগীর) কৌতুকের মতো। যে শক্তপোক্ত কুস্তিগীরের নিচে চাপা পড়েও তাকে দুহাতে জড়িয়ে প্রাণপণে চাপতে চাপতে বলতে থাকে, “ক্যান মারিবি মার ত চাই (কেমন মারবি মার তো দেখি) !    আর দাউদ বোধহয় নুসরাতকে গোল্ডেন রিং দিয়ে গ্রহণ করবে কি করবে না সেই চিন্তায় মগ্ন। প্রবল বাতাসের ধাক্কায় দুজনেই চিৎপটাং। তারপর খেয়াল হলো জাহাজের দুইতলার একটা ফাঁক থেকে ইকবাল ভাইয়ের এক সহকর্মী হ্যান্ড মাইকে কিছু বলছেন। শব্দ ঠিকঠাক শোনা যাচ্ছে না বৃষ্টি আর সমুদ্রের ভয়ংকর গর্জনের জন্য। তবে তার অঙ্গভঙ্গি দেখে বুঝা যাচ্ছে, তিনি বলছেন, না দাঁড়াতে,এবং হামাগুড়ি দিয়ে জাহাজের ভিতরে চলে আসতে। বিষয়টার গুরুত্ব বুঝা গেল যখন ঈশান দেখল একটা পূর্ণবয়স্ক মানুষের সমান ওজনের দুইটা বয়া বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে ফেললো সমুদ্রে। জাহাজের অভিজ্ঞ কর্মচারীরা জানেন,নয়তো বয়াগুলো এত লম্বা লোহার শিকলে বেঁধে রাখবেন কেন। যাক এযাত্রায় আনাড়ি দুই সমুদ্র যাত্রী প্রাণ হাতে নিয়ে জাহাজের অভ্যন্তরে ঢুকল। 

 

নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে দুই আনাড়ির হামাগুড়ি দেওয়ার দৃশ্যটা বেশ উপভোগ করছিল নুসরাত। গাং পাড়ের কন্যা সে, ঝড়-তুফান ওদের কাছে পান্তা ভাত। কেবিনে ফিরে ভিজা কাপড় পাল্টে চা পানের উদ্দেশ্যে বের হচ্ছিল দুজন। জাহাজ ততক্ষণে ঐ ঘূর্ণি বলয় থেকে বেরিয়ে এসেছে। কী অবাক কাণ্ড ! আবার চারিদিকে ঝকমকে রোদ,তবে তেজ একটু কম। এতক্ষণ যেন কোথাও কিছু ঘটেনি ! নুসরাত মুচকি হেসে বলল,

 

কি, কেমন দেখলেন ঐ রূপ ? 

 

সুযোগ পেয়ে দাউদ একটু স্মার্ট হওয়ার চেষ্টা করল। 

 

– আপনার রূপের তুলনা হয় না। ধারে আর ভরে দু’দিকেই কাটে। 

 

– আমার নয় জনাব,আমি ঐ সমুদ্রের রূপের কথা বলছিলাম। নিজেরটা শুনতে শুনতে কান,মন ভোতা হয়ে গেছে। 

 

– ও সরি সরি – আমি আসলে – 

 

– থাক আর বলতে হবে না। আপনার সাথে আমার কিছু কথা আছে। চলুন উপরের  ডেকে যাওয়া যাক। 

 

ব্যাপারটা কী !  লাজুক মেয়েটা এমন ডেস্পারেট হয়ে গেল !  না-কি সমুদ্র পাড়ের কন্যারা এমনই। এই শান্ত – এই অশান্ত ! ঈশান মনেমনে ভাবছে। নাহ্ ওদের একটু একা থাকতে দেওয়া দরকার। জীবনের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে দু’জনেরই সময়ের প্রয়োজন। 

 

ইয়ে, দাউদ,তোমরা তাহলে কথা বল, জানোই তো আমি আবার নিকোটিনের দাস। আমি রেস্টুরেন্টে আছি। গুড লাক। 

 

নুসরাত মাথাটা একটু ঝুঁকিয়ে বেশ কায়দা করে বলল, থ্যাংক ইউ দাদা। 

 

ও হরি !  এই মেয়ে তো মোটেও লাজুক নয়,বিচ্ছুর বিচ্ছু !  একটা সুখটান দিতে দিতে কথাগুলো ভাবছে ঈশান। 

 

অনেকক্ষণ হয়ে গেল, দাউদের আসার নাম নেই। এরমধ্যে দুবার ইকবাল ভাই তার সাগরেদ পাঠিয়ে মেহমানদের খবর নিলেন। সন্ধ্যা নাগাদ জাহাজ হাতিয়া ঘাটে ভিড়বে। তার পরের গন্তব্য বরিশাল। ঈশানরা নেমে যাব হাতিয়ায়,কারণ নিঝুম দ্বীপ দেখবে। ওসখালী বাজারের এক আবাসিক হোটেলের মালিককে জানিয়ে রেখেছেন ইকবাল ভাই, তার মেহমান যাচ্ছে। কাজেই রাতকাটানো নিয়ে নো টেনশন। 

 

জাহাজ, ঘাটে ভিড়ার কিছু আগে দাউদ ফিরে এলো। মুখখানা কেমন যেন উদাস !  আপাতত কোনো প্রশ্ন করল না ঈশান। এসময় চুপচাপ থাকাই শ্রেয়। সামথিং ইজ রং।

 

 পরেরদিন সকালে নিঝুম দ্বীপ যাত্রা। তা ও ঝকঝকে তরতাজা সকাল। নিঝুম দ্বীপের একপাশে সবুজ প্রান্তর। ওখানে বিশাল মহিষ বাথান,আরেক পাশে বিশাল কেওড়া বনে হাজার হাজার চিত্রল হরিণ। আশির দশকে কোনো এক প্রকৃতি প্রেমি মন্ত্রীর বদান্যতায় এখানের কেওড়া বনে  অল্প কিছু হরিণ সুন্দরবন থেকে এনে ছাড়া হয়েছিল। যা এখন সংখ্যায় ষাট হাজার লেখা দেখা যায় বনে প্রবেশের মুখে এক সাইনবোর্ডে। 

 

ফেরার সময় বনের ভিতর হঠাৎ শিলাবৃষ্টি শুরু। প্রকৃতির এই খেলা বুঝা বড় দায় ! এত সুন্দর সকাল, বিকেল হতে হতে এমন লণ্ডভণ্ড করে দিতে পারে একমাত্র এই খেয়ালি প্রকৃতি। মাথায় শক্ত কাউবয় টুপি না থাকলে দু’জনেরই খবর হয়ে যেত। যাওয়ার সময় নিঝুম দ্বীপ ঘাটে দেখা টিনের তৈরি টং দোকানগুলো দেখা গেল শ্রীমতি তুফানি বেগম উড়িয়ে নিয়ে ফেলেছে বিলের মাঝখানে ! 

 

সন্ধ্যায় দু’জনে ওসখালী বাজারে ঘুরতে বেরিয়েছে। কুপির আলোয় বাজারটা বেশ মায়াময়। মাঝেমধ্যে দু’একটা ব্যাটারি চালিত লাইট মায়াময় দৃশ্যটাকে যেন ভেংচি কাটছে। ঘন মোষের দুধের চায়ে একটা চুমুক দিয়ে প্রশ্নটা করেই ফেললো ঈশান –

 

– কি মিয়া,আন্টিরে কি কমু কইলা না তো ? হাতিয়ার জামাই হইবা কি হইবা না কইয়া ফালাও। 

 

ভাষায় পরিবর্তন খেয়াল করে দাউদ একটু ঠাট্টা করে বললো, 

আমি হাতিয়ার জামাই হওয়ার আগেই তো তুমি হাতিয়ার ঘরের ছাওয়াল হয়ে গেছ দাদা ! 

 

দু’জনেই প্রানখুলে হাসলো কতক্ষণ। 

 

– না না সেটা নয়,নুসরাতের সাথে একান্তে কি কথা হলো তার সারমর্ম তো বলবে ? 

 

দাউদ একটা গভীর শ্বাস ফেলে বললো – 

 

নুসরাত সমুদ্রের মাঝে দেখা ঐ গোল্ডেন রিং। দেখা যাবে,অনুভব করা যাবে,ছোঁয়া যাবে না,ধরা যাবে না। ওর তরী বাঁধা টেমস নদীর কোনো এক বাঁকে । 

 

হুড়মুড় করে বৃষ্টি শুরু হলো আবার। ঈশানের সেই গানটা শুনতে খুব ইচ্ছে করছে – ওগো বৃষ্টি আমার চোখের পাতা ছুঁয়ো না – – –

 

তারিখঃ জুলাই ২০, ২০২৩

Subscribe
Notify of
guest
2 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Saad
Saad
1 year ago

সুন্দর! তবে আমার মতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের বর্ণনা আরো বিস্তারিত হলে ভালো হতো। তাড়াহুড়া করে শেষ করে দেয়া হয়েছে মনে হলো।
সোনালী আঙটির বিষয়টি চমৎকার।

সুচরিত চৌধুরী
সুচরিত চৌধুরী
1 year ago

দৃশ্যপটের বর্ণনা খুবই সুন্দর।

প্রকাশক - Publisher

Site By-iconAstuteHorse