ক্ষরণ

 

এক-

নির্বিবাদী রামদুলাল ভট্টাচার্য নতুন বৌ নিয়ে ভাড়া এলেন যশোদানন্দন চক্রবর্তীর বাড়িতে। সেখানে থাকাকালীন ওঁর স্ত্রী এক পুত্রের জন্ম দিলেন। অপূর্ব তার রূপ, কিন্তু সম্পূর্ণ মানসিক ভারসাম্যহীন। যত বড় হতে লাগল, সেই দেবদূত ঠাট্টা ও করুণার পাত্র হয়ে উঠল। অবশ্যই ভটচাজ দম্পতির আড়ালে। মানুষ নিজের ভেতরের অক্ষমতা, অপদার্থতা, অসামঞ্জস্য ঢাকতে নিজের চেয়ে হীনতর কাউকে খুঁজে পেতে চায়। তাকে চাঁদমারি করে।

ভটচাজ বাবুর স্ত্রীকে কোনদিনও দেখা যায়নি ছেলেকে নিয়ে বাইরে বেরোতে। ভটচাজ বাবুকে দেখা যেত রোজ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় কারখানা ছুটি হওয়ার পর প্রায় দৌড়তে দৌড়তে বাড়ি ফিরছেন। রাস্তায় কেউ জিজ্ঞাসা করলে হাঁফাতে হাঁফাতেই বলতেন, “ছেলেটা আমার জন্য হাপিত্যেশ করে বসে থাকে তো। ওকে নিয়ে বিকেলে বেরোতেই হবে।”

তারপর দেখা যেত এক বাবা তার মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে হাত ধরে নিয়ে চলেছেন। বাবার মুখময় প্রশান্তি, আর ছেলেটি যেন এক চলমান স্ট্যাচু। এরপর মাঠের ওধারে সূর্যাস্ত হলে, চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ত আবছায়ার গুঁড়ো…ওঁরা ফিরে আসতেন।

ছেলে যখন বছর দশেকের, একদিন শোনা গেল ভটচাজ বাবুর স্ত্রী আবার সন্তানসম্ভবা। ততদিনে ওরা ভাড়াবাড়ি ছেড়ে মহল্লার পেছনের দিকে সস্তায় একটি বাড়ি কিনে উঠে গেছেন। সারা পাড়ায় এই সংবাদ যথেষ্ট চাঞ্চল্য সৃষ্টি করল। মূল উপজীব্য ছিল, প্রথম সন্তানটি এমন, তবু এই বয়সে আবার একটি সন্তানের ঝুঁকি নেওয়া…

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ভটচাজ গিন্নী আবারও একটি পুত্র সন্তান প্রসব করলেন এবং শুধু তাই নয় নবজাতক সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। এই ছেলে দুরন্ত ডানপিটে হয়ে বেড়ে উঠতে থাকল। পাড়া প্রতিবেশী বলার মত লব্জ পেল – বেশী বয়সের ছেলে যে! এমন তো হবেই। অথচ এঁরাই আগে চিন্তায় বিভোর হয়ে পড়েছিলেন। ভটচাজ বাবুর বিকেল সাড়ে পাঁচটার রুটিন একইরকম রইল। দেখা যেতে লাগলো ভটচাজ গিন্নী ছোটছেলেকে নিয়ে মাঝেমাঝে বেরোচ্ছেন। পরচর্চাপ্রিয় প্রতিবেশীদের কাছে মুখরোচক বিষয় হয়ে উঠল ভটচাজ পরিবারের এই নতুন সমীকরণ।

একদিন ভটচাজ বাবু কারখানায়, ছোটটি স্কুলে গেছে, ভটচাজ গিন্নী কাজ শেষে শরীরটা টানটান করেছেন। সুনসান দুপুর। বড় রয়েছে পাশের ঘরে। তার ঘুম, জাগরণ, স্মৃতি, বিস্মৃতি, শব্দ, নৈঃশব্দ সবই অভিব্যক্তিহীন। বিকেলে ভটচাজ বাবু ফিরে দেখেন বড়ছেলে ঘরে নেই। আশেপাশে কোত্থাও নেই। ছোট সেদিন স্কুল থেকে কোচিং হয়ে ফিরবে প্রায় সাতটা নাগাদ। থানায় জানানো হলো। রেললাইনের আশেপাশে খোঁজাখুঁজি হলো। হসপিটালেও খোঁজ নেওয়া হল। কোত্থাও পাওয়া গেল না তাকে।

রামদুলাল ভট্টাচার্যর সেই কান্না…ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে একা পার হয়ে চলা অনন্ত বিষাদ মরুভূমি এবং ওঁর স্ত্রীর পাথরের মত চুপ করে থাকার এই শোক বহু প্রশ্ন তুলেছিল। ফিসফাস শোনা গিয়েছিল – “কী জানি বাবা, ওই জড় পদার্থের জন্য এ কান্নার কী মানে, কে জানে!” বা “বলিহারি যাই! মা-টার চোখে একফোঁটা জল নেই!” বা “ঈশ্বর এই মানবজীবন ধারণের কষ্ট থেকে মুক্তি দিয়েছেন ওকে!” মধ্যবিত্ত পাড়া আলোচনামুখর হয়ে উঠল। ব্যাখ্যা, প্রতিব্যাখ্যায় এই অভূতপূর্ব ঘটনা বেশ অনেকদিন পর্যন্ত পাড়ার স্নায়ুকে টানটান রেখেছিল।

ভটচাজ বাবু এমনিতেই কম কথার মানুষ। আরো যেন চুপ করে গেছেন এর পর। চেনা লোকও কুশল জিজ্ঞাসা করলে, অনেকটা সময় নিয়ে নিস্পৃহ উত্তর দিতেন, “চলে যাচ্ছে”। এই ভারী ‘চলে যাচ্ছে’র মধ্যে শূন্যতাটুকু প্রশ্নকর্তাকেও ছুঁয়ে যেত। ছোট ছেলে পড়াশোনা, খেলাধুলো নিয়ে ব্যস্ত। মায়ের সঙ্গেই তার যোগাযোগটা বেশী। আপনভোলা বাবার কাছে সে পারতপক্ষে ঘেঁষে না।

“কাকু, একটা কথা ছিল।” বাজার যাওয়ার পথে মান্তু হঠাৎ ডেকে বলল ভটচাজ বাবুকে।

“আমার সাথে!” উনি বিস্মিত হয়ে গেলেন। ওঁর সাথেও যে কারো কথা থাকে, এই স্বাভাবিকতা থেকে উনি ক্রমশ সরতে সরতে অনেক দূরে চলে এসেছিলেন।

“হ্যাঁ, মানে ছোটনের ব্যাপারে। ” মান্তু বলল।

“ও…” কেমন নিভে যাওয়ার মত দেখাল ওঁকে, “বল”।

“ওর ফুটবলে খুব ইন্টারেস্ট। স্কিল আছে, স্পিডও ভালো।” মান্তু বলে চলেছে।

ওকে থামিয়ে ভটচাজ বাবু বললেন, “আর কিছু বলবে?”

“ওকে যদি পেতাম, মনের মত করে তৈরী করতাম।”

“তা পেতে কে মানা করল? পাও না। যত ইচ্ছে পাও।”

“এজন্য আমার কোচিং সেন্টারে ওকে ভর্তি করিয়ে দিন না, কাকু।”

“তোমার ইনট্রোডাকশনটা বড্ড বড়, রচনাটা ছোট।” ভটচাজ বাবুর অনুচ্চ স্বর মান্তুর কানে ঠিকঠাক পৌঁছলো না।

“কিছু বললেন, কাকু?”

“নাঃ…শোন, আমাকে এসব বলে লাভ নেই, তুমি বরং ওকেই বোলো। বাই দ্য ওয়ে, তুমি এখন কী করছ যেন?”

“আমাকে কোলকাতার অফিস ক্লাবগুলো হায়ার করে নিয়ে যায়। মান্তু বেশ গর্বের সাথে বলল।”

“ও! তুমি তাহলে কোন ডিভিশনে আর চান্স পেলে না? এখন কোচিং সেন্টার চালানোই প্রফেশন!”

 

দুর্বল জায়গায় ছুঁয়ে দিতেই মান্তু রেগে টং। মনে মনে বলল, বুড়োটা বহুত ত্যাঁদড় তো!

 

 

দুই-

“বাবা তোমাকে কিছু বলেছে মা?”

“কী ব্যাপারে?”

“মান্তুদা কদিন আগে বাবাকে বলেছে আমাকে কোচিং সেন্টারে ভর্তি করানোর জন্য।”

“পড়াশোনাটাই ঠিকঠাক করিস না, আবার ফুটবল!”

“ওঃ মা! তোমরা না সত্যিই ব্যকডেটেড! জানো আজকাল খেলা থেকেই চাকরি হয়ে যায়?”

“বলিস কী ! দাঁড়া, তোর বাবাকে বলে দেখি।”

 

“মান্তু তোমাকে কিছু বলেছে নাকি?”

“বলেছে।”

“ভাবলে কিছু? ছেলের তো দেখছি খুব উৎসাহ।”

“সে তো দেখবেই! নতুন যজ্ঞের জন্য টাকা নিয়ে নিতে বোলো। আর কি…”

 

তিন-

ছোটন ভর্তি হয়ে গেল ফুটবল কোচিংয়ে। গুচ্ছের জিনিস কিনে দিতে হল।

ভটচাজ বাবু কাউকেই বোঝাতে পারেন না, এসব থেকে অনেক দূরে তার মন পড়ে থাকে বড়র জন্য। কোথায় আছে, কী খাচ্ছে, কোথায় শুচ্ছে কে জানে! রাতে ওর গায়ের চাদর সরে গেলে কে ঠিক করে দেয়! সাড়ে পাঁচটায়…ছেলেটার ধপধপে স্মৃতিতে কি সত্যিই কোন জলছাপ নেই! দু’আঙুলে ধরা বিড়িটা কখন যে নিভে আসে খেয়াল থাকে না। সবাই ভুলে যেতে পারল। উনিই শুধু…

ছোটন কোচিং সেন্টার নিয়ে মেতে উঠেছে। পড়াশোনার পাট প্রায় চুকিয়ে দিয়েছে। মায়ের মাথায় ঘুরছে ছেলের চাকরী হবে…

ছোটন এদিক ওদিক খেপ খেলে বেড়াতে শুরু করল। চার ফুট দশের রমরমার বাজারে ছোটনের এখন বেশ নামডাক। প্রাইজে ভরে উঠছে ঘর। পকেটও ভরছে, বাড়িতে জানায় না। কোত্থেকে একটা মোটর সাইকেল উপহার পেল। ছেলের গর্বে মা টইটম্বুর। বাবা নিস্পৃহ।

এরপর রঞ্জিতার সাথে আলাপ হলো ছোটনের। কোলাঘাট গেছিল খেলতে। ফিরে এসে ইনিয়ে বিনিয়ে মাকে জানালো,

“একটি মেয়ে, জানো মা, বিশ্বাস করতে পারবে না কী পরিমাণ ফুটবল-পাগল!”

মা-ও ছেলের তালে মেলান, “তোর বুঝি ভালো লেগেছে ওকে?”

‘কী যে বল! আসলে আমাদের এখানে এমন দেখতে পাওয়া যায় না তো, তাই অবাক হয়েছি!”

পাশের ঘর থেকে সবই শোনা যায়, কিন্তু নিজের ঘোরে থাকা ভটচাজ বাবু অর্দ্ধেক কথা আমলই দেন না। মা ছেলের পৃথিবীতে উনি যেন এক আগন্তুক। বাবা যখন জিজ্ঞাসা করে, “বড় ক্লাবে খেলার উচ্চাশা আছে, নাকি এভাবে খেপ খেলেই চলবে?” ছোটন গুটিয়ে যায়। ওর ভালোলাগে না। মায়ের কাছে দুঃখ করে, “বাবা কোনদিন আমার কিছুই ভালো দেখল না।” একদিন হঠাৎ ছোটন বিয়ে করে নিয়ে এল রঞ্জিতাকে। ভটচাজ গিন্নীর খুশী আর ধরে না। কিন্তু ভটচাজ বাবু পুত্রবধূর সামনেই ছেলেকে বলে বসলেন, “এভাবে ছোটলোকের মত বিয়ে করলি কেন? তোর বিয়ে দেবো না বলেছিলাম? আর তোর শ্বশুরবাড়ির লোকজনই বা কেমন যে ছেলের বাড়ির সঙ্গে কথা না বলেই মেয়েকে বিদায় করল! কীসের এত তাড়া?”

রঞ্জিতা মুখে কিছু বলল না, কিন্তু ভেতরে একটা আগ্নেয়গিরি উন্মুখ হয়ে রইল, সুযোগ পেলেই বিস্ফোরণ ঘটানোর।

“নতুন বউ নিয়ে এসে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই ছেলেটাকে আজ কথাগুলো না শোনালেই চলছিল না? তুমি না বাবা!” ভটচাজ গিন্নী চাপা গলায় ফেটে পড়লেন রাতে ঘরে এসে।

“বাবা বলেই তো এভাবে সামনাসামনি বললাম। সবাই তো সামনে ‘বাহ্! বাহ্!’ করছে আর পেছনে হাসছে।”

“এতে দোষের কী আছে?”

“তোমাকে মানুষের মধ্যে ধরে তো একমাত্র তোমার ছোটছেলে! এখন ছেলের বউও হয়ত লিস্টে জুড়তে পারে!”

“আমি যে সারাজীবন রইলাম, এ তোমার গতজন্মের পুণ্যের ফল!”

“আমি তো জন্মান্তর মানি না জানোই। আমি কেন সুস্থ কেউই মানেন না। তুমি শুধু শুধু আমার জন্মটাকে এতদূর টেনে নিয়ে যাচ্ছ কেন! পুণ্যই যদি করতাম বড়টা এভাবে…”

“আজ এই আনন্দের দিনে ওসব কথা মনে করে কষ্ট পেয়ে কী লাভ?”

“আজ সাতই আষাঢ়! এটুকুও তোমার মনে নেই! ও অনেক ব্যথা নিয়েই চলে গেছে।”

 

চার-

“মা, আমরা এখান থেকে চলে যাব।”

“কী বলছিস, ছোটন! কেন? কোথায় যাবি?”

“বাবার সঙ্গে একসাথে আর থাকা যাচ্ছে না। একটা ভাড়া বাড়ি দেখেছি।”

“কেন? কী বলেছেন তোর বাবা?”

“কিছুই বলেনি…কিছুই তো বলে না…আমরা এতদিন এসব মেনে নিয়েছি, পরের বাড়ির মেয়ে, সে কেন মানবে বলো তো?”

“তুই তাকে শেখা। বাবার সারাজীবনের দুঃখটা চেনা।”

“সত্যি বলতে মা, বাবার এই সারাজীবনের দুঃখটা আমার নিজের কাছেই এবার অসহ্য হয়ে উঠেছে। দাদার কথা ভেবে বাবা আমাকেও কোনদিন ভালোবাসেনি। মানছি, আমার জন্য প্রচুর করেছে। কিন্তু কেয়ারটেকিং আর পেরেন্টিং-এর তফাৎ নেই?”

ভটচাজ গিন্নী চুপ করে আছেন।

“তোমাকে আরেকটা কথা বলার আছে, মা। তুমিও আমাদের সঙ্গে চল।”

“তোর কী মাথা খারাপ হয়ে গেছে ছোটন? কী বলছিস!”

“ভেবেচিন্তেই বলছি মা। আমরা চলে গেলে বাবার সঙ্গে তুমি বাকী জীবনটা থাকতে পারবে তো? আর আমি তোমাকে ছাড়া কী ভাবে থাকব মা? প্লীজ চল।”

“তুই এখন আয়।”

ভটচাজ গিন্নী গভীর ভাবনায় ডুবে যেতে থাকেন। পেছনের পৃষ্ঠাগুলো হাওয়ায় উলটে সামনে চলে আসতে থাকে। চেনা অক্ষরেরাও যেন অচেনা মনে হয়! ছোটন তখন পেটে, একদিন ভটচাজ গিন্নী নিজের খেয়ালে বলে উঠেছিলেন, এবারেরটা যেন ঠিকঠাক হয়, দেখো ঠাকুর।

ভটচাজ বাবু সেকথা শুনতে পেয়েই ফেটে পড়েছিলেন, “আমাদের ছেলেকে সারা পৃথিবী যেভাবে দেখেছে, তুমি মা হয়েও তার চেয়ে আলাদা কিছুই দেখতে পারোনি এতদিনে? আর যে আসছে, সে হবে বিকল্প! ছিঃ!”

অদৃশ্য ফাটলটার সেই সূত্রপাত। তারপর ছোটন এল, বেড়ে উঠতে থাকল…নাঃ আর কোনদিন আর স্বাভাবিক হয়নি অন্দরমহল। নিষ্প্রাণ কর্তব্যপালনে দিন কেটেছে। বাবার সঙ্গে ছোটনের বরাবরই এক অলঙ্ঘ্য দূরত্ব। ছোটন মনখারাপ করেছে। কিন্তু অব্যক্তের ভেতরে অনেকটা অন্ধকার, তিনি চেনাতে পারেননি ছেলেকে।

 

পাঁচ-

“বিয়ে করে এসে যেদিন উপস্থিত হলি, ভাঙন দেখতে পেয়েছিলাম। নিজেকেই নিজে দুষেছিলাম। আজ আর কোন অনুভূতি রইল না।”

ছোটন এতক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিল। এবার বলল, “মাঝেমাঝে আসব। এছাড়াও প্রয়োজন হলে জানিও।”

“হবে না। আর হলেও তোমাদের থেকে কোন সাহায্যই নেব না, নিশ্চিন্তে থেকো।”

বাবার মুখে ‘তুমি’ ডাকটা শুনলে ছোটবেলা থেকেই কান্না পেয়ে যেত ছোটনের। আজও…ও ড্রিবল করল প্রাণপণে।

ভটচাজ গিন্নী পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে এলে উনি বললেন, “আমি যে এভাবে প্রণাম করিও না, নিইও না, এটাও ভুলে গেছ এতদিনে? যাইহোক…ভালো থেকো।”

এ বাড়ির প্রায় সবকিছুই ম্যাটাডোরে তুলে ওদের বিদায় করিয়ে দিয়ে একা তিনি ফিরে এলেন।

একটা প্যাকেটের ভেতর থেকে বেরোল কয়েকটি পুরোনো জিনিসপত্র। পরম মমতায় হাত বোলাতে বোলাতে তিনি বিড়বিড় করতে লাগলেন-ঠিকই করেছিস! ঠিকই করেছিস!

 

তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১

Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

প্রকাশক - Publisher

Site By-iconAstuteHorse