সায়াহ্ন
রুবানা ফারাহ আদিবা (ঊর্মি )
‘Rain rain go away
Come again another day
Little Camie wants to play
Rain rain go away’
আজ সারাদিন ধরেই ক্যামেলিয়ার মাথায় এন্ডলেস লুপের মতো ছোটবেলার এই রাইমটা ঘুরপাক খাচ্ছে। ক্যামেলিয়া চৌধুরী, বয়স ৫৬। অবসর নিয়েছেন পাঁচ বছর আগে। অধ্যাপক পদে সংযুক্ত ছিলেন Barkley বিশ্ববিদ্যালয়ে বিগত পনের বছর। গবেষণার বিষয় ছিল – Phonetics and Sounds in Bengali Language. তাঁর বেশ কিছু সাড়া জাগানো পাবলিকেশন আছে, যা বর্তমানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রেফারেন্স হিসেবে সমাদৃত হয়েছে।
সারাদিন ধরেই আজ আকাশ মেঘলা। তুষারপাতের সম্ভাবনা শতভাগ, বারবার টেলিভিশনের স্ক্রলিংবারে ভেসে আসছে সতর্কবার্তা। কিছুক্ষণ আগে, একমাত্র কন্যা টিউলিপ, ফোন করে তাঁকে বারবার সাবধান করে দিয়েছে, তিনি যেন মনের ভুলে এই হিমঠাণ্ডায় দরজা খুলে ব্যাকইয়ার্ডে বা সামনের পোর্চে না যান। মিস ক্লারা, তাঁর কেয়ারগিভার রান্নাঘরে রাতের খাবার তৈরী করছে, চামচ এবং কুকিং প্যানের টুংটাং শব্দ ভেসে আসছে মাঝে মাঝেই। ক্লারা জানতে চাইছিল আজকে তাঁর কী খেতে ইচ্ছে করছে, বলেওছিলেন ওকে, কিন্তু তা কিছুতেই এই মুহূর্তে ক্যামেলিয়া মনে করতে পারছেন না। pasta ? না কোনো chicken preparation? না কোনো Fish Menu ?
ক্যামেলিয়ার ঘরের দেয়াল জুড়ে ছোট ছোট sticky notes সাঁটানো। তাতে লেখা আছে জরুরি কিছু তথ্য। তিনি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই সময় করে এগুলোতে একবার চোখ বুলিয়ে নেন। স্বামী রাহাত রহমান NSU তে একজন সম্মানিত ফ্যাকাল্টি মেম্বার। তাঁকে অধিকাংশ সময়ই নিউইয়র্কে থাকতে হয়, তবে সুযোগ হলেই তিনি চলে আসেন তাঁদের পুরোনো বাড়িতে।
দাপুটে হাওয়া আছড়ে পড়ছে ছাদে, বাইরের ম্যাপল গাছগুলোতে। যেন কোনো রাগী রাক্ষসের শিসের শব্দ চুরমার করে দিচ্ছে রাতের নিস্তব্ধতা। ফায়ারপ্লেসের উষ্ণতা থেকে ওম নেয়ার জন্য ক্যামেলিয়া রকিং চেয়ারটাকে একটু এগিয়ে নিলেন কাছাকাছি। খুব নরম দুটো হাতের স্পর্শে পাশ ফিরে তাকালেন তিনি। নীল চোখ আর মেঘ মেঘ খয়েরী চুলে ঘেরা পানপাতার মতো একটি অনিন্দ্যসুন্দর মুখাবয়ব তাঁর মুখের পরে ঝুঁকে আছে। রিনরিনে মিষ্টি কণ্ঠস্বর যেন দূর বহুদূর থেকে ভেসে আসছে, যেমন করে কৈশোরের দুপুরগুলোতে পাশের বাড়ি থেকে অনুরোধের আসরের প্রিয় গানগুলো প্রজাপতির মতো উড়ে উড়ে আসত। কৃষ্ণচূড়ার ছায়াঘেরা পথ ধরে পায়ে পায়ে প্রিয়তম হৃদয়ের কাছে পৌঁছে যাবার গল্প থাকত সে’সব দিনের গানের কথায়। বিছানায় উবু হয়ে প্রথম প্রেমের বোকা বোকা চিঠি … সেসব দিনের স্মৃতিতে বিলি কাটতে কাটতে ক্যামেলিয়া আটকে পড়ে গুচ্ছ গুচ্ছ জটে।
আবার সেই ঝুমঝুমি কণ্ঠস্বর।
“ক্যামি, তোমার কি খুব শীত শীত করছে ?”
ক্যামেলিয়ার মনে তখন উথাল পাথাল ঝড়, চাহনিতে বিস্ময়, নিউরনে নিউরনে সংঘর্ষ। স্নিগ্ধ হাসি ছুঁয়ে আছে মেয়েটির ঠোঁট। ক্যামেলিয়ার হাতজোড়া বাঁধা পড়েছে পরম স্নেহে তার করকমলে।
“আমি, ক্লারা। দেখেছ ক্যামি ? বাইরে তাকিয়ে দেখো কেমন ফ্যাকাশে হয়ে এসেছে আশপাশ। আজ রাতে তুষারপাত হবেই হবে।”
ক্লারা লংপ্লেতে বেটোভেন চাপিয়ে দিল। সিম্ফনির মূর্ছনাতে থৈ থৈ ঘর। তিরতির করে ক্যামেলিয়ার আঙ্গুলগুলো কাঁপছে , কখনও সুরে বা কখনও তালে তালে। ক্যামেলিয়ার চোখের পর্দায় আধো আলো ছায়াতে অগুন্তি মানুষের ভীড় জেগে উঠছে। মানুষগুলো সব বিবর্ণ, ঝাপসা, অচেনা না কি চেনা ? সে হিসেব কষতে গিয়ে তিনি জেরবার হয়ে পড়ছেন, ক্লান্ত পরিশ্রান্ত হয়ে ঝিমিয়ে পড়ছেন বারবার। তাঁর অঙ্ক মিলছে না কিছুতেই।
ক্যামেলিয়া ধীরে ধীরে একটা ছোট্ট মেয়ের মতো চঞ্চল হয়ে উঠেছেন। ক্যানভাসে তিরতির করে একটা ছবি জীবন্ত হয়ে উঠছে। তুষারাবৃত একটা পাহাড়, ঢালু হয়ে এসে মিলেছে একটা উপত্যকায়। উঁচু উঁচু গাঢ় সবুজ সাইপ্রেস আর সারি সারি থুজা গাছ যেন আলো করে রেখেছে সাদা জমিন। কান ঢাকা টুপিটা আরও ভালো মতো জড়িয়ে দিয়ে স্লেজে বসিয়ে দিয়েছিলেন একজন স্নেহময় মানুষ। অজস্র যন্ত্রণা আলপিনের মতো বিঁধছে কোষে কোষে, গ্রন্থিতে গ্রন্থিতে। চেনা মুখটা সরে সরে যাচ্ছে ধীরে, আলগোছে, কিছুতেই তাঁকে স্পর্শ করতে পারছেন না ক্যামেলিয়া। তাঁর নাম কী? কী সম্পর্ক তাঁর সাথে ?
চোখ দুটো বন্ধ করে ফেললেন ক্যামেলিয়া। সেদিনকার মতো একটা অসহায়ত্ব গ্রাস করতে থাকে ওঁকে, যেদিন প্রথম বার্কলে থেকে বাড়ি ফেরার সময় বাসে উঠে মনে করতে পারছিলেন না, তাঁর কোথায় ফিরবার কথা। পাকা দু’ঘণ্টা ভবঘুরের মতো বাসে ঘুরেছিলেন সেদিন। পরিচিত রাস্তা, ল্যান্ডমার্কগুলোর পাশ দিয়ে বাসের পুনঃ পুনঃ আসা যাওয়ায় বাড়ির ঠিকানার সুতোটাকে শেষ পর্যন্ত ধরতে পেরেছিলেন ।
ভাষার উচ্চারণ এবং ধ্বনি ক্যামেলিয়াকে খুব আকর্ষণ করে এসেছে ছেলেবেলা থেকেই। এ কারণেই, পি এইচ ডি প্রোগ্রামে তাঁর থিসিস এই বিষয়ের ওপরেই। বিভিন্ন ভাষার পাশাপাশি বিশেষ আলোকপাত ছিল বাংলাভাষা নিয়ে। বার্কলে বাংলা বিভাগে উপযুক্ত সম্মাননা সহ ক্যামেলিয়ার পদচারণা শুরু হয় আজ থেকে বিশ বছর আগে। অনারারি প্রভাষক হিসেবেও তাঁকে যেতে হয়েছে বিভিন্ন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠানে। পাঁচ বছর আগে এক আন্তর্জাতিক ভাষা সম্মেলনে একটি প্রেজেন্টেশন দেয়ার আমন্ত্রণ এসেছিল ক্যামেলিয়ার কাছে। অডিটোরিয়াম ভর্তি মনযোগী ছাত্র শিক্ষক, পিনপতন নিস্তব্ধতা আর ওঁর মেধাবী প্রেজেন্টেশন – হঠাৎ করে খেই হারিয়ে ফেললেন ক্যামেলিয়া। যেন আঁতিপাঁতি করে একটি শব্দ খুঁজে চলেছেন কিন্তু কিছুতেই সেই বিশেষ শব্দটির হদিস মিলছিল না। হতে পারে কয়েক সেকেন্ড, কিন্ত ক্যামেলিয়ার মনে হচ্ছিল অখণ্ড এবং অসহায় এক দীর্ঘ সময় পার করছেন তিনি। হতবিহ্বল হয়ে পড়ছিলেন প্রতি মুহূর্তে। সামলে নিয়েছিলেন যদিও, তবুও ইতস্ততঃ ভাবটুকু কাটিয়ে উঠতে পারেননি খুব সহজেই।
সেই থেকে রাতের পর রাত তিনি শুধু ভেবেছেন, ভবিতব্য তাঁকে আসলে কোথায় টেনে নিয়ে যাচ্ছে ? বিচ্ছিন্নভাবে কিছু Nursing Care এ ঘুরেছেন। দেখেছেন প্রবীণ বয়সের কিছু মানুষকে। তাঁদের দুচোখের দৃষ্টি ফ্যাকাশে হয়ে এসেছে। কেউ বিড়বিড় করে চলেছে বিরামহীন। কেউ বইয়ের পাতা উল্টে যাচ্ছেন অন্যমনস্ক, কেউ হয়তো পায়চারি করে যাচ্ছেন ক্রমাগত। সহ্য করতে পারেননি তিনি। বিমর্ষ হয়ে পড়ছিলেন ধীরে ধীরে। দুশ্চিন্তা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল মনের নরম।
ড. ইসাবেলা রড্রিক্স এর স্বপ্নীল নীলাভ কামরাতে কেটেছিল এর পরের অনেকগুলো বিষণ্ন অধ্যায়। সাদা কালো ও রঙিন রঞ্জনরশ্মিতে ধরা পড়ে তাঁর নিউরণের বিরূপ আচরণ, লোহিত কণিকা শ্বেত কণিকার অসম অবস্থান , রাসায়নিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার জৈবিক সংঘাত। মানসিক সংঘাত এবং সমঝোতার চড়াই উৎরাই পার করে সবশেষে ছাপা হয়েছিল সংবাদ শিরোনাম জীবনের দৈনিকে। এ যেন সমন জারি হয়েছিলো ক্যামেলিয়ার দোরগোড়ায়। ক্যামেলিয়ার জীবন পাল্টে গেল সহসাই। প্রতিদিন নানারকম স্মৃতি বিস্মৃতির আলোছায়ার লুকোচুরি খেলা চলত মনের উঠোনে। সারাজীবন ধরে, একটু একটু করে নিরলস পরিশ্রমে ওঁর মনের চকবোর্ডে যা কিছু লেখা হয়েছিল, দ্রুততম গতিতে তা মুছে যেতে শুরু করল।
সেই থেকেই শুরু হয়েছিল দেয়াল লিখন। দিনের সাথী ক্লারা এবং রাতের সহচরী টিউলিপ। অফিস শেষে বাড়ি ফিরেই মায়ের সাথে রাজ্যের গল্পের আসর বসিয়ে দেয় সে। কখনও বই পড়ে শোনায়, কখনও পুরোনো ছবির অ্যালবামে হারিয়ে যায় দু’জন, সব সারা হলে, যত্ন করে ঘুম পাড়িয়ে দেয় মাকে। সারাদিনের ফাঁকে ফোঁকরে একটু একটু করে ক্যামেলিয়া দেয়ালে চোখ রাখে। নাম, জন্ম তারিখ, বাড়ির ঠিকানা মনে রাখার চেষ্টা চলে অবিরত। দু’সপ্তাহ পর পর রাহাত রহমান আসেন বাড়িতে। দু’জনের সময় কাটে খানিক আনন্দে , খানিক বিষাদে।
ক্লারার রান্না শেষ হয়েছে। ছাদের ওপর, বাইরের পোর্চের সিমেন্ট কনক্রিটে টুপটাপ শব্দ জানান দিচ্ছে তুষারপাত শুরু হলো এবার। তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন ক্যামেলিয়া। ক্লারার পায়ের মৃদু আওয়াজে সচকিত হয়ে তাকালেন।
“চলো ক্যামি , খেয়ে নেবে। আজ তোমার টিউলিপের বাড়ি পৌঁছতে একটু দেরি হবে। পথ ঘাট একটু পিচ্ছিল হয়ে আছে। এজন্য খুব সাবধানে ওকে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। হুকুম আছে, তোমাকে সময় মতো খাইয়ে দেবার।”
এই বলে ক্লারা ওঁর হাত ধরে নিয়ে এসে খাবার টেবিলে বসিয়ে দিলো। গরম স্যুপ থেকে ধোঁয়া উঠছে। মিষ্টি সুস্বাদু একটা সুবাস ম’ ম’ করছে। খুব ক্ষিদে পেয়ে গেল ক্যামেলিয়ার আচমকা। স্যুপের চামচে অল্প অল্প করে চুমুক দিয়ে তৃপ্তি করে খেয়ে নিলেন সবটুকু স্যুপ। সাথে রাইস পিলাফ এবং মাছ। ডাইনিং হল থেকে বের হয়ে সোজা করিডোর ধরে হেঁটে এলেন। এরপর আর কিছু মনে পড়ছে না। সিঁড়ি ধরে ওপরে যাবেন ? না ডানদিকে ? না একটু পিছিয়ে এসে বামদিকের কোণায় শোবার ঘর ? সবকিছু ভীষণভাবে গুলিয়ে যাচ্ছে ক্যামেলিয়ার। সিঁড়ি ধরে ওপরে এসে পৌঁছুলেন টিউলিপের ঘরে। সিঁড়ি ধরে নিচে নেমে ডানদিকে গেলে লন্ড্রি রুম। খুঁজে চলেছেন তিনি নিজস্ব গৃহকোণ, নিজের গায়ের গন্ধ মাখানো বালিশ চাদর, পরিচিত দেরাজ। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে তাঁর। মাথাটা ভীষণ ঝিমঝিম করছে। ডুবে যেতে যেতে শুনলেন ক্লারার উদ্বিগ্ন কণ্ঠস্বর …
হালকা ঘুমবাতিটা জ্বলছে দরজার একপাশে। মুঠোয় ধরে রেখেছেন গায়ে জড়িয়ে রাখা উলের কম্বলের একটুখানি। ঠিক যেমন, ছোট্ট শিশুরা ঘুমের মাঝে আশ্রয় খুঁজে নেয় তার প্রিয় কিছুতে। দেরাজের দরজাটা ভেজানো। ক্যামেলিয়ার এখন আর শুয়ে থাকতে ভালো লাগছে না। পায়ে পায়ে দেরাজের কাছে গিয়ে দরজা খুলতেই কত কিছু নজরে এলো তাঁর। চাবির গোছা, ছোট্ট ভেলভেটের বটুয়া ভরা খুচরো পয়সা, কাঠের কারুকাজ করা গয়নার বাক্স। বাক্সটা খুললেই পিয়ানোর টুংটাং, সুরেলা লুলাবাই। লাল রঙের সার্টিন কাপড়ে মোড়ানো একটি কাগজ। কী আছে এতে ?
কাঁপা কাঁপা আঙুলে ক্যামেলিয়া ভাঁজ খোলে কাগজের। গোটা গোটা বাংলা হরফে লেখা আছে তাতে –
“প্রিয় ক্যামেলিয়া,
যখন তোমার মনে হবে, নিজেকে মনে করতে করতে তুমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছ, তোমার চারপাশের জীবনগুলো থমকে গেছে, স্থবির হয়ে গেছে চলাচল, আর এই মুহূর্তে তুমি ঘুমোতে চাইছ শান্তির ঘুম, দেরাজের ভেতরেই আছে তার ঠিকানা। খয়েরি রঙের ছোট্ট শিশিতে আছে কিছু নীল ক্যাপসুল। বিছানার পাশে রাখা আছে এক গ্লাস জল। খেয়ে নিও চুপ করে। কাউকে বোলো না, শ্ শ্ শ্ শ্ !
ভালোবাসা নিও
ক্যামেলিয়া।“
আহা, শান্তি নেমে এসেছে দুচোখে।
দু’দিকে বিনুনিতে ঝড় তুলে মাথা ঝুঁকিয়ে অবিশ্রান্ত কথা বলতে বলতে বাড়ির সদর দরজা দিয়ে ঢুকছে পরীর মতো একটা মেয়ে। থুতনিতে কালো তিল। পাশে দাঁড়িয়ে স্মিত হাসি হেসে একজন মধ্যবয়সী পুরুষ মেয়েটির সব কথাতেই বিস্মিত হচ্ছেন। তাঁর অনামিকাটি জড়িয়ে আছে মেয়েটির সব ক’টা আঙুল।
ক্যামেলিয়া পাশ ফিরে চোখ বুজল। সেই যে পেঁজা পেঁজা বরফ, স্লেজ, কানঢাকা টুপি ! সুযোগ পেলেই বাবা শুধু নামিয়ে দিত টুপিটা। খুনসুটি হতো খুব বাবার সাথে এ নিয়ে। তামাকের সঙ্গে সুগন্ধি হাওয়া মেখে বাবা এসে বসেছে ক্যামেলিয়ার কাছে। কোঁকড়া চুলে বিলি কেটে দিচ্ছে পরম স্নেহে। তুষারপাত শেষ হলেই আবার স্নো বল , আবার স্নো ম্যান। বাবার যাদুমাখা কণ্ঠে গুনগুন রাইম…
ঘুম ঘুম ঘুম…
‘Rain rain go away
Come again another day
Little Camie wants to play
Rain rain go away’
তারিখঃ এপ্রিল ৮, ২০২২
অসাধারণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন। এ ধরনের বর্ষীয়সী মহিলার ভাবনার বিষয়গুলো কি অদ্ভুত ডিটেইলস সহকারে ফুটিয়ে তুলেছেন! আপনার বর্ণনার ভাষা বরাবরের মতো মনোহর। ধন্যবাদ জানবেন।
এই বিষয়টি নিয়ে লিখবার ইচ্ছে অনেকদিনের, শব্দাশ্ব সেই সুযোগটি করে দিয়েছে। আপনার নিবিষ্ট পাঠের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ রইল।
কী চমৎকার লেখাটি!