একলা পথের পথিক
সুকন্যা মিশ্র
ছোটবেলায় আমার বেড়ে ওঠা এক আধা শহরের সরকারী আবাসনে। কাছেই ছিল রেলস্টেশন। মা, কখনও কখনও বিকেলবেলায় আমাকে নিয়ে স্টেশনের ওভারব্রিজে ওঠার সিঁড়িতে বসে থাকতেন। ওভারব্রিজের নিচ দিয়ে সাপের মত এঁকে বেঁকে ট্রেন যেত, আমি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতাম। ঝমঝমিয়ে স্টেশন কাঁপিয়ে দূরপাল্লার ট্রেনগুলি চোখের নিমেষে প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে বেরিয়ে যেত। তখন মনে হতো ওই দূরপাল্লার ট্রেনে চেপে কবে আমি এই স্টেশনটাকে ‘টাটা’ করতে করতে বেড়াতে যেতে পারব। ছোট থেকেই পাহাড়, নদী কিংবা জঙ্গলে বেড়ানোর ইচ্ছে ছিল প্রবল। কিছু ইচ্ছে আর ইচ্ছেপূরণের মেলবন্ধনের প্রথম সুযোগ ঘটল জন্মের এক কুড়ি বছর পরে।
ভ্রমণ, আমার কাছে কেবলই প্রকৃতিতে অবগাহন নয়। প্রকৃতির কোলে বেড়ে ওঠা আঞ্চলিক মানুষদের নিত্যকার জীবনসংগ্রামের কাহিনীগুলিও সমানভাবে আকর্ষণীয়। যত ঘুরে বেড়িয়েছি ততই অভিজ্ঞতার ঝুলি স্ফীত হয়েছে। স্থির বিশ্বাস জন্মেছে, পৃথিবীটা সত্যিই তো ভারী সুন্দর। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মানুষদের সঙ্গে পরিচয় না ঘটলে জানতেই পারতাম না, কোটি কোটি মানুষ আমার চেয়ে কষ্টে থেকেও হাসিমুখে জীবনের প্রত্যেকটা দিন “ভালোমন্দ যাহাই আসুক, সত্যেরে লও সহজে” মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে দিন নির্বাহ করে চলেছে। সুতরাং ‘চরৈবেতি’, ‘চরৈবেতি’….।
ভ্রমণের প্রথম ইচ্ছেপূরণ হয়, কলেজ ট্যুরে অন্ধ্রপ্রদেশের ভাইজাগ গিয়ে। ওখানেই আমার প্রথম সমুদ্র আর পাহাড় দেখা। আজও, প্রথম সমুদ্র দেখার মুহূর্তটি মনে করলে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। ঋষিকোণ্ডা বিচে দিগন্ত প্রসারিত অগাধ জলরাশির দিকে তাকিয়ে মনে হয়েছিল, সাগরের জল সত্যিই কোনো ক্যামেরার কারুকার্য ছাড়াই কৃষ্ণ নীল? প্রথম পাহাড় দেখার অভিজ্ঞতাটিও ছিল অভিনব। ভোরের আলো আঁধারিতে, আরাকু ভ্যালি যাওয়ার বাসে উঠে বসেছি। আমার বসার জায়গাটি ছিল জানলার ধারে। ধীরে ধীরে আলো ফুটে ওঠার পরে, হঠাৎ ডান দিকে চোখ পড়তেই, সিট ছেড়ে তো প্রায় লাফিয়ে ওঠার জোগাড় হয়েছিল! একেই পাহাড় বলে বুঝি? এক বিশাল ইটগুঁড়ি রঙের স্তুপ,যার মাঝে মাঝে এক চিলতে করে সবুজ ঝোপ, আকাশে মাথা ছুঁইয়ে যেন সদর্পে বিজয় উল্লাস প্রকাশ করছে। এর পরে অনেক জায়গায় ঘুরেছি কিন্তু সমুদ্র বা পাহাড়ের প্রসঙ্গ এলে, প্রথমেই ভাইজাগের কথা মনে পড়ে যায়।
বসন্তকালে একবার গিয়েছিলাম ওড়িশা। শীতের মিঠে আমেজ তখনও রয়ে গেছে আবার গরম তখনও থাবা বসাতে পারেনি এমন এক সময়। পুরী থেকে ভোর রাত্রে চন্দ্রাভাগার সোনালী সমুদ্রতট থেকে সূর্যোদয় দেখবার পরিকল্পনা নিয়ে বেড়িয়েছি। সেখানে পৌঁছে দেখি অপেক্ষারত পর্যটকের ভিড়, নিশ্চুপ থেকে চলছে সূর্যোদয়ের প্রতীক্ষা। হঠাৎই আকাশের প্রান্তসীমায় মেঘের আস্তরণ সরিয়ে সূর্যের আংশিক আত্মপ্রকাশ। সমবেত জনতার সে কী উচ্ছ্বাস! ধীরে ধীরে বৃত্ত সম্পূর্ণ হলো। কুসুমরাঙা সূর্য, তখন দিনের সূচনা ঘোষিত করছে। এমন অপার্থিব দৃশ্যের সামনে, কথা যেন আপনিই হারিয়ে যায়। সেদিন মনে হয়েছিল, জীবনে বেঁচে থাকার সার্থকতা তো এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলোর জন্যই। সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে প্রতিদিনই ঘটে চলে তবুও তার রূপবৈচিত্র্য প্রতিদিনই ভিন্নরূপে নতুনভাবে আমাদের আকৃষ্ট করে। প্রকৃতপক্ষে, প্রকৃতিই হলো মানুষের পথনির্দেশক। তাই প্রকৃতির কোলেই আমাদের ফিরতে হয় বারে বারে। কবি সুনির্মল বসু যথার্থ বলেছেন, “আকাশ আমায় শিক্ষা দিলো উদার হতে ভাই রে /কর্মী হবার মন্ত্র আমি বায়ুর কাছে পাই রে।”
পূর্বঘাট পর্বত আর চিলকা হ্রদে ঘেরা ওড়িশার এক অপূর্ব দর্শনীয় স্থান হল রম্ভা। এখানে প্রকৃতি এমনই যত্নে সজ্জিত যে একে স্বর্গের অপ্সরীদের বাসস্থান বলে মনে হয়। হ্রদের মাঝে ছোট ছোট দ্বীপ, কোনোটা ”বার্ডস আইল্যান্ড” কোনোটা বা ‘ব্রেকফাস্ট আইল্যান্ড’ ইত্যাদি নামে পরিচিত। চিলকার সবজে নীল জলে চলে সিগাল আর পানকৌড়িদের সাম্রাজ্য। নিঝুম দুপুরের বাতাসে কান পাতলে দূর থেকে ভেসে আসে ”পিউ কাঁহা – পিউ কাঁহা” ডাক। রম্ভায় চিল্কার জল রাঙা করে পাহাড়ের আড়াল থেকে সূর্যোদয় ভারী মনোরম এক দৃশ্য। বুদ্ধদেব বসুর ‘চিল্কায় সকাল’ কবিতায় এর এক মনোরম রূপ ধরা আছে-
“কী নির্মল নীল এই আকাশ, কী অসহ্য সুন্দর,
যেন গুণীর কণ্ঠের অবাধ উন্মুক্ত তান
দিগন্ত থেকে দিগন্তে;
কী ভালো আমার লাগলো এই আকাশের দিকে তাকিয়ে;
চারদিক সবুজ পাহাড়ে আঁকাবাঁকা, কুয়াশায় ধোঁয়াটে,
মাঝখানে চিল্কা উঠছে ঝিলকিয়ে।”
একবার পুজোর ছুটিতে প্রায় দিন কুড়ির জন্য বাক্স প্যাঁটরা বেঁধে উত্তরাখণ্ড রওনা দিয়েছিলাম।চকোরি, মুন্সিয়ারী, কৌশানি, রাণীক্ষেত, আলমোড়া হয়ে পৌঁছেছিলাম বিন্সরে; থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ের শীর্ষে এক সরকারী বাংলোতে। এখানে একটা ব্যাপার বেশ রোমাঞ্চকর ছিল। বিন্সরের বাংলোতে বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকে কেবলমাত্র সন্ধ্যে ছ’টা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত। ওরই মাঝে বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল সমস্ত কাজকর্ম সেরে নিতে হতো। ঠিক রাত ন’টায় আলো নিভে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র বিশ্ব চরাচর জুড়ে অদ্ভুত এক নিস্তব্ধতা নেমে এল। তিথি মতে ওইদিন ছিল কোজাগরী পূর্ণিমার পরের দিন। চাঁদের ঝকঝকে আলোয় এক অদ্ভুত মায়াবী পরিবেশে সেই মুহূর্তে মনে হয়েছিল সারা পৃথিবীতে আমিই বুঝি একমাত্র জীবিত প্রাণী! চারিদিকে কান পাতলে নিজের নিঃশ্বাসের শব্দটুকু ছাড়া আর কিচ্ছু শোনা যায় না। এইসব মুহূর্তগুলোর জন্যই মনে হয় জীবন এখনও এত সুন্দর। অসমীয়া কবি, হীরেন ভট্টাচার্যের একটি কবিতার লাইন মনে আসছিল বারবার,”জীবন যতোটা সুন্দর হতে পারে, সুন্দর তার চেয়েও।”
পাহাড়ের বিস্তৃত পরিধি, মনে হয় মানুষকে আরও উদার হতে সাহায্য করে, নয়তো পাহাড়ি মানুষরা এত আন্তরিক হয় কীভাবে? উত্তরাখণ্ড ভ্রমণের সময় আম্বালা থেকে লোহাঘাট পৌঁছাতে রাত এগারোটা বেজে গিয়েছিল। রাস্তা সারাইয়ের কাজ চলছিল, তাই এই বিলম্ব। রাত্রের খাওয়াটা তাই রাস্তার ধারের একটি টিমটিমে আলো জ্বলা ছোট্ট দোকানে সারতে হয়েছিল। ধোঁয়া ওঠা ভাত, গরম গরম ডাল আর বিন ও আলুর তরকারী খিদের সময়ে ছিল অমৃতসমান। সঙ্গে ছিল পেঁয়াজ আর লংকার যোগ্য সঙ্গত। খিদের তাড়নায় – কাঁচালংকাটা একটু বেশিই খেয়ে ফেলেছিলাম। ফলতঃ, ঝালে তখন আমার নাকের জলে, চোখের জলে দিশেহারা অবস্থা। শতছিন্ন এক সোয়েটার পরিহিত দোকানের মালিক হঠাৎ এক প্লেটভর্তি চিনি নিয়ে দৌড়ে এলেন। আমি যখন ঝালের প্রদাহ থামাতে, মুখে মুঠো মুঠো চিনি চালান করছি তখন ওই মালিক ভদ্রলোকের সে কী ”বেচারি’ ‘অবস্থা। যেন তিনি অতিথিকে খাওয়ার সঙ্গে লংকা দিয়ে মারাত্মক এক অপরাধ করেছেন, যার জন্য প্রতিনিয়ত ক্ষমা প্রার্থনা করে চলেছিলেন। অতিথির যথাযোগ্য সম্মান তিনি দিতে পারেননি তাঁর এই আক্ষেপ শুনতে শুনতে বিদায় নিয়েছিলাম সেইদিন। সেদিন শিখেছিলাম আন্তরিকতার সঙ্গে অতিথি আপ্যায়ন কাকে বলে।
এই উত্তরাখণ্ড ভ্রমণের সময়ে প্রায় পনেরো দিন গাড়ি নিয়ে সঙ্গে ছিলেন সারথি ”সুরিন্দার ভাইয়া।” কোথাও একেবারেই একা ছাড়তেন না, সব সময় দূর থেকে খেয়াল রাখতেন অথবা সঙ্গে যেতেন যাতে অপরিচিত জায়গায় কোথাও কোনোরকম বিপদে না পড়তে হয়। এখনও যোগাযোগ রয়ে গেছে ওঁর সঙ্গে। মেয়ের বিয়েতে তিনি তাঁর এই ”সিস্টার”কে নিয়ে যাবেনই তাঁর বাড়ি হলদোয়ানিতে। সময় বয়ে যায়, ছাঁকনির উপরের অংশে রয়ে যায় এই সম্পর্কগুলো। কত শত মাইল দূরে থাকা এক দাদার, তাঁর পথে আলাপ হওয়া এক বোনের জন্য কোভিডকালীন লকডাউনের সময়ে উৎকণ্ঠিত স্বরে কুশল সংবাদ নেওয়ার মধ্যেই তো থেকে যায় সম্পর্কের উষ্ণতা। আত্মীয় তো এঁরাও, এঁরা তো আমাদের আত্মার কাছাকাছিই থাকেন।
সেবারে লাভা বেড়াতে গিয়ে থেকেছিলাম সরকারি বিশ্রামাগারে। পাহাড়ের ওপরে পাইনের বিস্তৃত জঙ্গলের মধ্যে ছোট ছোট কটেজ। দুই পাশের দুই প্রান্ত সীমা বহুদূর বিস্তৃত, এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত একেবারে চোখে পড়ে না। ঘটনাক্রমে সেদিন আর কোনও বোর্ডার ছিল না অন্যান্য কটেজে। সিকিউরিটি গার্ডের ডিউটি ছিল বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। নাইট গার্ড ছিলেন ছুটিতে। শুধু যিনি রান্না করবেন উনি রান্না-খাওয়ার ব্যবস্থা করে বাড়ি ফিরে যাবেন। রাত যত বাড়ে ঠাণ্ডাও পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে। আটটার সময় মোবাইলে তাপমাত্রা দেখলাম, এক ডিগ্রি। ঠাণ্ডায় কাঁপছি। রাঁধুনী দিদি এসে আমায় রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে উনুনের পাশে বসালেন। খুব আরাম পেলাম। রাত্রের খাওয়ারের পর দিদি আমায় আশ্বস্ত করে গেলেন যে এত বিশাল এলাকায় একা থাকলেও বিপদের সম্ভাবনা একেবারেই নেই। সেদিন কিন্তু ভয় লাগেনি একটুও। মনে হয়েছিল এই যে উষ্ণ আশ্বাসটুকু রাঁধুনী দিদি দিয়ে গেছিলেন কিংবা দুটি স্থানীয় কুকুর, কুঁড়ে ঘরটির বাইরে স্বেচ্ছায় আমাকে পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছিল, এই আন্তরিক পরশটুকুই তো এ অনাগত বিপদকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল। ভারি নিশ্চিন্তের ঘুম ঘুমিয়েছিলাম সেইদিন।
একবার বর্ষার শুরুতে রিশপ গিয়েছিলাম। জায়গাটা এত ভালো লেগেছিল যে একদিন থাকার পরিকল্পনা করে তিনদিন থেকে গিয়েছিলাম। সকালের দিকে বৃষ্টি হতো, বিকেলের দিকে আকাশের মেঘ একটু হালকা হলে এদিক ওদিক হাঁটতে বের হতাম। একদিন হাঁটতে হাঁটতে দেখলাম ”টিফিনদাঁড়া” লেখা একটা হোর্ডিং আর পাহাড়ের ওপরে ওঠার পথনির্দেশ। নতুন পথ আবিষ্কারের আনন্দই আলাদা। তাই দিকনির্দেশ বরাবর পাহাড়ি পথে এগিয়ে যেতে শুরু করলাম। কোথা থেকে এসে সঙ্গী হল একটি লাল সাদা রঙের কুকুর। সে খানিক এগিয়ে যায়, আবার পেছন ফিরে দেখে আমি এগোচ্ছি কিনা, অপেক্ষা করে, আবার এগোয়। ঠিক যেন এক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ! এগোনোর রাস্তা বলে কিছু ছিল না। পাহাড়ি পথে যেদিকে এগোনো হয় সেখানেই পথ তৈরি হয়ে যায়। ভিজে পাতায় পথ পিছল,সঙ্গে রয়েছে জোঁকের উপদ্রব। উঁচু উঁচু ভিজে পাইনের ঝিম ধরা ছায়ায় এক মায়াবি অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে। কেমন এক ছমছমে অনুভূতি। ফিরে যেতেও মন চায় না আবার এগোতেও কুণ্ঠা হয়। কী এক অমোঘ আকর্ষণে সাবধানী পা ফেলে এগিয়ে যাই। প্রায় ঘণ্টা খানেক হাঁটার পর পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছনো গেল। অত উঁচু থেকে চারপাশের দৃশ্য অপার্থিব সুন্দর লাগছিল। আলো কমে আসছিল,তাই ফেরার তাড়া ছিল, নেমে এলাম ধীরে সুস্থে। “টিফিনদাঁড়া”র রাস্তা শেষ হওয়ার ঠিক আগের বাঁকেই, কুকুরটা ভীষণ ব্যস্ততায় আমায় পেরিয়ে এগিয়ে গেল, আর দেখতে পেলাম না ওকে। হোটেলে ফিরে আসার পর হোটেল মালিকের থেকে কিঞ্চিৎ বকাঝকা শুনলাম। সন্ধ্যের দিকে ওই জঙ্গলে নাকি ভালুক বের হয়, কেন আমি কাউকে কিছু না জানিয়ে একা একা বেরিয়ে অতদূর গেছি ইত্যাদি ইত্যাদি। লোকে বলে ”অসময়ের বন্ধু।” কিন্তু আমি ভাবি, অসময়ে যে পাশে থাকে তাকেই তো একমাত্র বন্ধু বলা যায়। চারপাশের ”বন্ধু”রূপী মানুষের অভিনয়ে মন বিরূপ হয়ে উঠলে আমার সেই রিশপের সারমেয় বন্ধুটির কথা খুব মনে পড়ে, যাকে আমি শেষ বিদায়টুকুও জানিয়ে আসতে পারিনি।
পরিশেষে, মার্ক টোয়েন মহাশয়ের ভাষায় বলা যায়,”Twenty years from now you will be more disappointed by the things that you didn’t do than by the ones you did do. So throw off the bowlines. Sail away from the safe harbor. Catch the trade winds in your sails. Explore. Dream. Discover.” বছর কুড়ি পরে, বিগত কুড়ি বছর আগের কৃতকর্মের কথা ভেবে হতাশাগ্রস্তভাবে জীবন কাটিয়ে দেওয়া বিবেচকের কাজ নয়, তাই অন্বেষণ, স্বপ্ন এবং আবিষ্কারের মধ্যে দিয়েই রচিত হোক আগামী দিনগুলির ভিত্তিপ্রস্তর।
তারিখঃ এপ্রিল ৮, ২০২২