এক সুখী রাজকুমারীর গল্প
চিরন্তন ভট্টাচার্য
তিনজন মানুষ। একইরকম ভাবে গলায় মাফলার প্যাঁচানো। তিনজনেরই পরনে স্লিভলেস সোয়েটার। হাতা গুটানো ফুল হাতা জামা। ফুল প্যান্ট। পায়ে মোজা এবং চটি। অবশ্য রঙগুলো আলাদা আলাদা। তিনজনেরই চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। তিনজনেরই দাড়ি গোঁফ মসৃণভাবে কামানো। তিনজনেরই মাথার চুল পাতলা আর সামনের দিকে ঈষৎ ঢেউ খেলানো। দরজা খোলা এবং ভিতরে আসার অনুমতি পেয়ে একে একে ঘরে ঢুকে এল তিনজনেই। বসবার জায়গা অবশ্য খুব বাহারি কিছু ছিল না। একটা কাঠের সোফা আর তার ওপরে মামুলি একটা গদি পাতা। গদিটা অবশ্য একটা ফুলছাপ চাদর দিয়ে আচ্ছাদিত করা কিন্তু হাতলে আর ব্যাকরেস্টে কোনো আচ্ছাদন নেই। একটু গুছিয়ে বসে তিনজন লোক আলাপ শুরু করলো। তাদেরকে দেখে অবশ্য মনে হচ্ছিল ওদের কোনো তাড়া নেই। “আচ্ছা নমস্কার আমি প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট।” বললো ডানদিকের প্রথম ব্যক্তি। “ওহ নমস্কার। আমি হের হিটলার।” মাঝের ব্যক্তি বলে উঠলো। এবারে ভদ্রমহিলা একটু বাধা দিলেন “আর তুমি কে বাবা? মহিষাসুর?” তৃতীয় ব্যক্তি এবারে নড়েচড়ে বসলো “এ হে না না! নমস্কার আমি প্রাইম মিনিস্টার চার্চিল।” ভদ্রমহিলা বললেন “তাহলে তো আমার পরিচয়টাও দিতে হয়। আমি সম্রাজ্ঞী নূরজাহান।”
“মাসিমা কি যাত্রা করতেন?” হের হিটলার জিজ্ঞাসা করলো।
“আমি তোমার বাপের মাসিমা বাছা। বাপের বললে ভুল। বাপের বাপ, তার বাপ, তার ঠাকুর্দার ঠাকুর্দা কি তারও ঠাকুর্দা হবে!” সম্রাজ্ঞী নূরজাহান বললেন “আর তোমরা কি সঙ সাজো বাছারা?”
“আমি কয়েকদিন ধরেই লক্ষ্য করছিলাম আমার ফ্ল্যাটের ব্যালকনি থেকে যে তোমরা রোজ সকালবেলা সামনের মাঠটায় ঘুরঘুর করছিলে। কেসটা কি? ঝেড়ে কাসো তো বাছারা।” সম্রাজ্ঞী নূরজাহান জিজ্ঞাসা করলেন।
“আসলে মাসিমা। সরি সম্রাজ্ঞী নূরজাহান। আমরা একটা বাজে কাজ নিয়ে এসেছি। বলতে কিঞ্চিৎ দ্বিধা আসছে মনে।” প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট গলাটা একটু কোমল করে বলল।
“সে ঠিক আছে। বলে ফেল। সম্রাজ্ঞী কারোর আর্জি ফেরায় না।” সম্রাজ্ঞী নূরজাহান উত্তর দিলো।
“আমরা আপনাকে নিয়ে যেতে এসেছি।” প্রাইম মিনিস্টার চার্চিল খুব উদাস গলায় বললো।
“সে ঠিক আছে। কিন্তু তার আগে তোমাদেরকে একটা গল্প শুনতে হবে। এক সুখী রাজকুমারীর গল্প।”
“আচ্ছা ঠিক আছে। আপনি বলুন। আমাদের কোনো তাড়া নেই।” হের হিটলার উত্তর দিলো।
“তাহলে শুরু করি গল্পটা,” সম্রাজ্ঞী নূরজাহান ঠিক অনুমতি চাওয়ার মত করে নয় যেন একটু কর্তৃত্বের সুরেই বললো “সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ে কলকাতার ঢাকুরিয়ার শহীদ নগর কলোনিতে একটা এক চিলতে টিনের ঘরে এক হাড় জিরজিরে বৃদ্ধ বসবাস করতো। মানুষটা হয়তো অতটা বৃদ্ধ ছিল না। কিন্তু অসুস্থতার কারণে এতই হাড় জিরজিরে ছিল যে উঠে বসতেই পারতো না। তাই তাকে মনে হতো বৃদ্ধ। আগে রিক্সা চালাতো। কিন্তু এই সময়ে আর সেটুকুও পারতো না। তার একটি কিশোরী মেয়ে ছিল। তার নাম ছিল পরিরানী। রাখাল সরকার বছর কয়েক আগে শিশু কন্যাকে নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে পূর্ব পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসেছিল।”
“আচ্ছা এই পূর্ব পাকিস্তান কোন দেশ? এই পাকিস্তান বস্তুটা কি?” হের হিটলার আচমকা জিজ্ঞাসা করে বসলো।
“আরে ইন্ডিয়া ভেঙে আরেকটা দেশ হয়েছিল। তার নাম পাকিস্তান। তোমার জানার কথা না। তুমি তো তার আগেই বাঙ্কারের মধ্যে পুড়ে ভুত হয়ে গেছ। প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টেরও জানার কথা না। তুমিও ততদিনে মরে গেছ। ইন্ডিয়া ছেড়ে যাবার আগে ওদের বোকামির সুযোগ নিয়ে আমরা একটা টুসকি দিয়ে গেছিলাম আর কি!” ছোট করে চোখ মেরে একটা ফিচেল হাসি এনে বললো প্রাইম মিনিস্টার চার্চিল।
“না না। আমি জানি। মরে যাওয়ার পরেও সব খবর রাখি। ওই হের হিটলারটার মত মূর্খ তো আমি না!” প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট উত্তর দিল।
“কি বলছো তোমরা বল তো! জার্মানি থার্ড রিকে চলে গেছে! নাৎসি সেনা মস্কো অবরুদ্ধ করে ফেলেছে! আর আমি কোথায় ইন্ডিয়ার খবর রাখবো?” হের হিটলার কিঞ্চিৎ উষ্মা দেখিয়েই বললো।
“তুমি আর ক্যালানের মতো কথা বলো না! তারপরেই তো স্তালিনের রেড ফৌজের কাছে ঝাড় খেয়ে শয্যাশায়ী হয়ে গেলে!” প্রাইম মিনিস্টার চার্চিল ব্যাঙ্গের সুরে বললো।
“তোমরা এটিকেট জিনিষটা আর কবে শিখবে বলতো? এই যে চার্চিল – তোমার পূর্বজ’রা তো আমার পায়ের কাছে বসে মাথা নিচু করে ব্যবসার সনদ নিয়েছিল। কি যেন নাম ছিল লোকটার? হ্যাঁ টমাস রো। এবারে তো একটু এটিকেট শেখো। সম্রাজ্ঞী যখন কথা বলে তখন অন্য যারা উপস্থিত তাদের কারোর নিজেদের মধ্যে কথা বলতে নেই।” সম্রাজ্ঞী নূরজাহান বেশ রাগের সঙ্গেই বললেন।
১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে কলকাতার কিছু কাগজে খেলার পাতায় ছোট্ট করে একটা খবর বেরোয় মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে একটি প্রদর্শনী ফুটবল খেলায় ভূপালের স্থানীয় একটি দলের হয়ে একজন বাঙালি যুবক প্রদীপ ধর কলকাতার বিখ্যাত ফুটবল দল মোহনবাগানের বিরুদ্ধে দুই গোল করেছেন। মোহনবাগান অবশ্য চারটি গোল করে খেলায় জিতে যায়। কিন্তু প্রদীপ ধরের পায়ের কাজ কখনো কখনো ফুটবল সম্রাট পেলেকে মনে করিয়ে দিচ্ছিল। প্রতিবেদনটা বাড়াবাড়ি ছিল। তখন কলকাতার কাগজে ফুটবলের উৎকর্ষতা নিয়ে আলোচনা হলেই পেলের প্রসঙ্গ উঠে আসতো। কিন্তু একটা কথা মানতেই হবে সেই সময়ে মধ্যপ্রদেশের মত একটা রাজ্যে যেখানে ফুটবলের সেরকম কোনো চর্চাই ছিল না সেখান থেকে কেউ কলকাতার মোহনবাগানের মত ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দলকে গোল দিয়ে আসছে এটা চিন্তাই করা যেত না। ভূপালের মত শহরের কোনো দলের সঙ্গে মোহনবাগানের খেলার কথাই না। কিন্তু এই দলটা ভূপালের শেষ নবাব এবং পাতৌদির নবাব বাড়ির বেগম সাহেবা বেগম সাজিদা সুলতান আলি খান পাতৌদির ইচ্ছায় তাঁর পিতা নবাব হামিদুল্লা খানের নামে তৈরি হয়েছিল। এখন প্রশ্ন আসতেই পারে কে এই প্রদীপ ধর? সুখী রাজকুমারীর গল্পের মধ্যে সে কিভাবে এসে গেল? কলকাতার শহীদ নগর কলোনির হাড় জিরজিরে রিকশাওয়ালা রাখাল সরকারের মেয়ে পরিরানী সরকারের সঙ্গে তার কি সম্পর্ক?”
“কিশোরী পরিরানীকে অর্থাভাবের জন্য পড়াশোনা ছাড়তে হয়েছিল। ঘরে বসে ঠোঙা বানানোর মত কিছু কাজ না করলে হাঁড়ি চড়ার আর উপায় ছিল না। কিন্তু একটা জিনিষ ও ছাড়তে পারেনি। বিকেলবেলায় মাঠে ছেলেদের সঙ্গেই ফুটবল খেলতো। তখনও মেয়েদের ফুটবল খেলার কথা সাধারণের ভাবনারই বাইরে ছিল। যদিও ১৯৭৫ সালে ভারতে মহিলা ফুটবল সংঘ তৈরি হয়েছিল। এমন সময়ে পরিরানী একটি লোকের চোখে পড়লো। গন্ধরাজ। গন্ধরাজ একদিন খেলা শেষে পরিরানীর হাফপ্যান্ট পরা খোলা জঙ্ঘার দিকে তাকিয়ে কামুক দৃষ্টিতে বললো ‘তোর পায়ে তো জাদু আছে রে!’ একটু এগিয়ে এসে মুখটা কানের কাছে নিয়ে বললো ‘ক্যাবারে নাচবি। ভালো পয়সা পাবি।’ পরিরানীর কানে শুধু প্রথম কথাটাই ঢুকেছিল। শেষের কথাগুলো আর কানে ঢোকেনি।”
“অর্জুন যেমন শুধু পাখির চোখই দেখেছিল। বাকি সব অদৃশ্য ছিল!” প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট বলল।
প্রাইম মিনিস্টার চার্চিল চোখের ইশারায় প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টকে থামতে বললো। সম্রাজ্ঞী নূরজাহান অবশ্য এবারে আর কিছু বললেন না। কিঞ্চিৎ নরমভাবে তাকিয়ে বললেন “হ্যাঁ। অনেকটা সেইরকমই। ডেডিকেশন কখনো অন্যদিকে মনই দিতে দেয় না।”
“এরপরে পরিরানীর জীবনে এলো ঋতুরাজ। ঋতুরাজ ছিল ফুটবল কোচ। রবীন্দ্র সরোবর সংলগ্ন মাঠে প্রতিদিন ছেলেদেরকে ফুটবলের কোচিং দিত। পাড়ার একজনকে ধরে পরিরানী গিয়েছিল তার কাছে। কিন্তু সে কোনো ভাবেই রাজী হলো না। এমনিতেই পরিরানীর সামর্থ্যের অভাব। তাই আবার মেয়ে। ঋতুরাজ ওর পরিচিত পরিরানীর ওই পাড়ার লোকটিকে যাচ্ছেতাই অপমান করলো ‘আমি তোকে বলেছিলাম সেরকম ট্যলেন্টেড গরীব বাচ্চা দেখতে পেলে জানাস। বিন পয়সায় কোচিং দেব। পয়সা তো করছিই। সঙ্গে কিছু পুণ্যের কাজও না হয় করি। কিন্তু তাই বলে একটা হাড়হাভাতে মেয়েছেলেকে ধরে আনলি? মেয়েছেলে ফুটবল খেলবে? না কি আমি এখানে ছেলে টানতে ক্যাবারে নাচের আসর বসাবো। যত্তসব। দূর হ এখান থেকে।’ এরপরে পরিরানীর দিকে ঘুরে অশ্লীল একটা মুখের ভাব করে বললো ‘মেয়েছেলে হয়ে ফুটবল খেলবি? পা যদি ভালো চলে তো হোটেলে গিয়ে ক্যাবারে নাচ কর নয় কি লাইন ধর। তাতে দু’পয়সা আসবে। মেয়েছেলে তুই ফুটবল খেলে কি মোহনবাগানে খেলবি না কি ইস্টবেঙ্গলে খেলবি? যত্তসব।’ কোচিং নিতে আসা ছেলেগুলোর মধ্যে হাসির হল্লা উঠলো। পরিরানী দাঁতে দাঁত চেপে শুধু একটাই উত্তর দিল ‘গোল দেব। দু’টো দলের মধ্যে অন্ততঃ একটা দলকে। কোনো একদিন। দেবই।’ এরপরে পরিরানীর জীবনে প্রবেশ করলো আরেকজন।”
কথা শেষ হওয়ার আগেই হের হিটলার বললো “এরপরে কি গ্রহরাজ?” সম্রাজ্ঞী নূরজাহান তাচ্ছিল্য ভরে তার দিকে তাকিয়ে বললেন “তোমার অনুমান ক্ষমতা এখনো দেখছি ভালোই আছে। হ্যাঁ গ্রহরাজই। মাখন সমাদ্দার। জ্যোতিষ। সুদূর মধ্যপ্রদেশের ভূপাল শহরে। সে আসলে পরিরানীকে পছন্দ করেছিল পরিচারিকা রাখবে বলে। ততদিনে পরিরানীর বাবা রাখাল সরকার মারা গেছে। একা একজন প্রায় যুবতীর পক্ষে বাস করা আমাদের সভ্য সমাজে তো অসম্ভব। তাই মাখন সমাদ্দারের কাজটা ও নিয়েই নিলো। মাখন সমাদ্দার ভূপাল নিয়ে যাওয়ার সময়েই ট্রেনে বসে শুনলো ওর ফুটবলার হওয়ার ইচ্ছের কথা। সে নিজেও একসময় ভালো ফুটবল খেলতো। কিন্তু জীবন কাকে কোনদিকে যে টেনে নিয়ে যায় কে বলতে পারে? মাখন সমাদ্দার পরিরানীকে ট্রেনিং দিয়েছিল ফুটবলের। জ্যোতিষ ব্যবসায় মাখন সমাদ্দারের বেশ ভালো নাম ছিল। সেই সূত্রে নবাব দরবারেও পরিচিতি পেয়েছিল। ভূপালের বেগম সাহেবা একটা ফুটবল দল তৈরি করেছিলেন তাঁর বাবার নামে। সেটা আগেই বলেছি। বেগম সাহেবার পুত্র মনসুর আলি খান পাতৌদি ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। কিন্তু ভূপালে ফুটবল খেলার প্রসার সেভাবে হয়নি। গ্রহরাজ মাখন সমাদ্দারের সুপারিশে এবং পরামর্শে পরিরানী সরকার প্রদীপ ধর সেজে ঢুকে পড়লো নবাব বাড়ির ফুটবল দলে। পরের দিকে নিজের দক্ষতার কারণে বেশ নামও হয়। আর মোহনবাগানকে গোল দেওয়ার পরে প্রদীপ ধর অনেক টাকা নবাবি নজরানাও পেয়েছিল। তারপর আর কি? প্রদীপ ধর ১৯৯২ সাল অবধি ভূপালের ওই দলের হয়ে খেলেছিল। খেলার দক্ষতার জন্য সবার নজর কেড়েছিল। কিন্তু টিটকিরিও শুনতে হতো মেয়েলি বলে। আসলে প্রদীপ ধর কখনো ড্রেসিং রুমে হোক কি মাঠে জার্সি খুলতো না। আসলে খুলতে পারতো না। তবে এই গল্পটা একটা হার না মানা জেদের গল্প। যে প্রতিজ্ঞা উত্তরণের পথে নিয়ে যায়।”
“কিন্তু এই কাহিনী তো কেউ জানতেই পারলো না!” প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট বললেন।
“না! কাহিনীটাই আসল। তবে এখন আর জানার প্রয়োজনও নেই। এখন মেয়েরা ফুটবল খেলতে পারে স্বচ্ছন্দেই।২০০৩ সালে কলকাতার দুই বড় ক্লাব মোহনবাগান আর ইস্টবেঙ্গল মহিলা ফুটবল উইং তৈরি করেছে। এখন তো ভারতীয় মহিলা ফুটবল লীগও চালু হয়েছে।” সম্রাজ্ঞী নূরজাহান বেশ দৃঢ়তার সঙ্গেই বললেন।
“গল্পটা তাহলে এখানেই শেষ হচ্ছে,” প্রাইম মিনিস্টার চার্চিল জানতে চাইলো “কিন্তু সুখী বুঝতে পারলাম। কিন্তু রাজকুমারী কোথায়?”
“রাজকুমারীর কথাও জানতে চাও? তাহলে শোনো। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আর এখনকার বাংলাদেশের বগুড়ার সম্পন্ন গৃহস্থ গোপাল রায় আর তার স্ত্রী’র সেনাবাহিনীর নির্যাতনে মৃত্যু হলে তাদের একমাত্র শিশুকন্যা রাজকুমারীকে বাঁচানোর জন্য গোপাল রায়ের বন্ধু রসিদ সরকার রাতের অন্ধকারে বর্ডার পার হয়ে এপারে এসে রাখাল সরকার আর তার মেয়ে পরিরানী সরকার নাম নিয়ে থেকে যায়। রসিদ সরকারকে সীমান্ত পেরোলে কেন রাখাল সরকার হতে হয় তা তুমি জানো হের হিটলার। আর তুমিও জানো প্রাইম মিনিস্টার চার্চিল। মানুষের চেয়েও তো জাত বড় ছিল তোমাদের কাছেও।”
“তাহলে এবারে আমরা রওনা দিতে পারি? হার রয়াল হাইনেস?” প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট বিনীতভাবে জিজ্ঞাসা করল।
“আপনার কি কাউকে খবর দেবার আছে? মানে অসুস্থতার খবর? না হলে শরীর তো রয়ে যাবে। পচন ধরবে।” প্রাইম মিনিস্টার চার্চিল জিজ্ঞাসা করলো।
“আমাদেরকে নিষ্ঠুর ভাববেন না। আমরা নিয়তি নির্দিষ্ট।” আস্তে আস্তে করে বললো হের হিটলার।
“না। আমার কাউকে খবর দেবার নেই। কারোকে জানানোরও নেই। তাছাড়া যা ফেলে যাচ্ছে তার প্রতি কোনো মায়া সম্রাজ্ঞীর থাকে না। যত দামীই হোক না কেন সম্রাজ্ঞী তা তাচ্ছিল্যের সঙ্গেই ফেলে যায়।”
তারিখঃ জুলাই ৫, ২০২১